জেনেভা: রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করতেই আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷ কিন্তু সে ভাবে সাহায্য তিনি পাননি৷ গত এক সপ্তাহ ধরে রুশ বাহিনী ইউক্রেন ছাড়তে শুরু করলেও তারা রেখে গিয়েছে চূড়ান্ত অমানবিকতার ছাপ৷ চারিদিকে গণহত্যা, ধর্ষণ, কখনও উদ্ধার হয়েছে হাত পা বাঁধা মৃতদেহ৷ এই অবস্থায় আরও একবার আন্তর্ডাতিক মঞ্চে জ্বালামুখী ভাষণ দিলেন জেলেনস্কি৷ যা নজর কাড়ল বিশ্ব দুনিয়ার৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় হানাদার রুশ ফৌজের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুললেন তিনি। মঙ্গলবার জেলেনস্কি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র ফুর্তির জন্য রুশ সেনা ইউক্রেন জুড়ে হত্যালীলা চালাচ্ছে!’’
আরও পড়ুন- ইমরানের আশায় জল! এখনই নির্বাচন হচ্ছে না পাকিস্তানে
এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জে বলার সুযোগ পেয়ে রুশ হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা তুলে ধরেন জেলেনস্কি৷ কিয়েভ থেকে শুরু করে বুচা, সর্বত্র পুতিন বাহিনীর নৃশংসতার ছাপ৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ সদস্যের পরিষদের সামনে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের শহরগুলিতে রাশিয়া যে হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, তা ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসবাদী আচরণের থেকে কম কিছু নয়। রাশিয়াকে রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে বহিষ্কার করার দাবিও জানান তিনি৷
ইউক্রেনে রুশ অভিযানের ৪২তম দিনেও আন্তর্জাতিক মহল ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ না করার হতাশা ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ‘‘হয় পদক্ষেপ করুন, না হলে রাষ্ট্রপুঞ্জ তুলে দিন৷’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আপনারা কি রাষ্ট্রসঙ্ঘকে বন্ধ করে দিতে চান? সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন কি উঠে যাবে? যদি আপনাদের উত্তর না হয়, তবে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।”
জেলেনস্কির অনুরোধ, ‘‘আপনারা সক্রিয় হন৷ নাহলে সকলকেই একদিন এই পরিস্থিতির শিকার হতে হবে৷’’ মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ইউক্রেনবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আর্জিও জানিয়েছেন তিনি৷ যে ভাবে রুশ হানাদার বাহিনী ইউক্রেনের মহিলাদের উপর যে অত্যাচার চালিয়েছে, সেই ভিডিয়ো দেখলে শিউরে উঠতে হয়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>