কলকাতা: রাজনৈতিক বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই৷ সেই সূত্রে ফাটল ধরেছিল সম্পর্কেও৷ তবে আইনি ভাবে এখনও তাঁদের বিচ্ছেদে সিলমোহর পড়েনি৷ সোমবার বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় বাঁকুড়া জেলা আদালতে হাজির বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। এর আগে দু’জনে পৃথক পৃথক ভাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে ‘মিউচুয়াল ডিভোর্স’-এর মামলা দায়ের করেন। সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার এদিন দুপুরে আলাদা আলাদা ভাবেই আদালতে আসেন তাঁরা৷ বিচারক তাঁদের কাছে জানতে চান, তাঁরা এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান কি না৷ জবাবে দু’জনেই বিচ্ছেদের কথা বলেন।
এদিন প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দু’জনের উপস্থিতিতে এজলাসে শুনানি পর্ব চলে। সুজাতা খাঁ জানান, এই বিচ্ছেদের জন্য তাঁর কোনও দাবি দাওয়া নেই। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালত চাইলে দ্রুত এই মামলার নিস্পত্তি হবে। অপরদিকে, এই বিষে মুখ খুলতে নারাজ সৌমিত্র খাঁ৷ বিষয়টিকে ব্যক্তিগত বলেই এড়িয়ে যান তিনি। তবে তাঁর আইনজীবী জানান, “মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। নেই মোতাবেক আজ শুনানি হয়েছে। আদালত দু’পক্ষের কাছেই তাঁদের বিবাহিত সম্পর্ক নিয়ে জানতে চেয়েছে। উভয়েই ডিভোর্সের জন্য আদালতের কাছে সহমত পোষন করেছেন।”
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্রর সঙ্গে সুজাতার বিয়ে হয় ২০১৬ সালে ১ জুলাই। একটি মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার কাজ চালাতে পারেননি তৃণমূলত্যাগী সৌমিত্র৷ তবে বিজেপির টিকিটে তিনি বিষ্ণপুর থেকে জয়ী হন৷ সৌমিত্রকে জেতানোর নেপথ্যে ছিলেন স্ত্রী সুজাতা৷ সে কথা বহু বার নিজেও স্বীকার করেছেন সাংসদ। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় একুশের নির্বাচনের আগে৷ তখন থেকেই বদলে যায় সম্পর্কের সমীকরণ। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা মণ্ডল। সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে সৌমিত্র জানিয়ে দেন, সুজাতার সঙ্গে তিনি আর কোনও রকম সম্পর্ক রাখবেন না৷ এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে সম্পর্ক বিচ্ছেদের জন্য আবেদন জানান বিজেপি সাংসদ। সোমবার ‘মিউচুয়াল ডিভোর্স’-এর শুনানি হল বাঁকুড়া জেলা আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>