কলকাতা: নেতাজির জন্মজয়ন্তীতেও লাগল রাজনীতির রং৷ রেড রোডে নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোপ দেগে তিনি বলেন, “আজকে নাম কামানোর জন্য অনেকে বলতেই পারেন শহিদ স্বরাজ দ্বীপ। নেতাজি যেদিন আন্দামানে পা রেখেছিলেন, সেদিনই তিনি নামকরণ করে এসেছিলেন। তিনি নিজেই আগামীর পরিকল্পনা, রূপরেখা তৈরি করে গিয়েছিলেন৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নেতাজি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি তৈরি করেছিলেন৷ জয় হিন্দ, এই একটা স্লোগানেই সারা ভারতকে একত্রিত করে বিরুদ্ধ শক্তিকে দুমরে মুচরে দিয়েছিল।”
আরও পড়ুন- কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে ‘সাঙ্কেতিক চিহ্ন’! কিসের ইঙ্গিত? পাঠোদ্ধারের চেষ্টায় ED
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্য সরকারের তরফে রেড রোডে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সুগত বসু সহ অন্যরা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মনে রাখা হবে না? অনেক স্বাধানতা সংগ্রামীর নামই আমরা ইতিহাসের পাতায় পাই না৷’’ তিনি আরও বলেন, “সুভাষ চন্দ্র বসু বীরজয়ী, পথপ্রদশর্ক, তিনি চিরকালের, বিশ্বজনীন, সর্বজনীন। কী ভাবে জাহাজে চেপে, গাড়িতে করে ছদ্মবেশে দেশের বাইরে থেকে লড়াই করে গিয়েছেন।”
এর পরেই কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘আমার বুদ্ধি একটু কম, তাই হয়ত বুঝি না। আপনাদের কাছ থেকে অনেক শেখার আছে, শিখতে চাই। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু প্ল্যানিং কমিশন তৈরি করে গিয়েছিলেন। সেই প্ল্যানিং কমিশন আজ নেই। সেটা তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা তো রাজনীতির কথাই বেশি বলি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরাও রাজনীতির কথা বলেছিলেন। কিন্তু, তাঁদের রাজনীতির মধ্যে মাধুর্য ছিল, সৌন্দর্য ছিল, দৃপ্তকণ্ঠে রাজনীতির কথা বলেছিলেন।” তাঁর কথায়, রাজনীতিবিদ হওয়া উচিত নেতাজি, গান্ধীজি, আম্বেদকর, আবদুল কালাম আজাদ, দেশবন্ধু, মাতঙ্গিনী, সূর্য সেন, বিনয় বাদল দীনেশের মতো৷ শুধু তাঁদের স্মরণ করে পতাকা তুললেই হবে না, সকলের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে হবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>