নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর আবাস, বসছে অত্যাধুনিক নজরদার ক্যামেরা

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর আবাস, বসছে অত্যাধুনিক নজরদার ক্যামেরা

ed78c5eb23c219c761f63f9fdd7519fa

কলকাতা: নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন৷ এবার পাতা উড়ে পড়লেও টের পাবে পুলিশ৷ এর আগে দিল্লি এবং মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকা এমন ভাবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে৷ বসেছে নজরদার ক্যামেরা৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘিরে বসছে ‘পেরিমিটার ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম’। নজরদারির ফাঁকফোকর এড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় ক্যামেরাযুক্ত পিআইডিএস বসাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। এই বৈদ্যুতিন নজরদারি ব্যবস্থায় ৩০টি অত্যাধুনিক ক্যামেরার চোখ ২৪ ঘণ্টা সদাজাগ্রত থাকবে।

আরও পড়ুন- রবিবার বাতিল হাওড়া-বর্ধমান রুটের সমস্ত লোকাল, নাকাল হতে হবে বৃহস্পতিবারও

কালীঘাটের জনবহুল এলাকায় মমতার আবাস৷ তার চারপাশে অনেক গলিঘুঁজি আছে। সেই সকল গলি দিয়ে খুব বেশি মানুষ যাতায়াত করেন না। প্রায় গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িগুলির মধ্যিখান দিয়ে এমন গলিপথ এত দিন নজরদারির বাইরেই ছিল। এবার সেই সকল পথেও থাকবে কড়া নজর৷ 

গতবছরের ঘটনা৷ হাতে লোহার রড নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে রাতভর ঘাপটি মেরে বসেছিল এক যুবক। সারারাত লুকিয়ে থাকার পর পরের দিন সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কেন ওই যুবক সেখানে এসেছিল?‌ তা আজও জানা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার পরই পিআইডিএস বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। দিল্লি, মুম্বইয়ের অতন্দ্র নিরাপত্তায় মোড়া এলাকায় পিআইডিএস ব্যবহার করা হলেও এই অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা বঙ্গে প্রথম।

কী ভাবে কাজ করে পিআইডিএস?

সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সাধারণত সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে পিআইডিএস মোতায়েন করা হয়ে থাকে। পিআইডিএস-এর অধীন এলাকায় কেউ প্রবেশ করলেই এই ক্যামেরার অন্তর্গত সেন্সর সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ করে দেয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আশেপাশে অসংখ্য অলিগলি রয়েছে, যেখানে সর্বদা পুলিশের পক্ষে সব সময় নজরদারি চালানো সম্ভব হয় না। পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে  কেউ যাতে রক্ষীদের অজান্তে ওই এলাকায় ঢুকে পড়তে না-পারে, তা নিশ্চিত করতেই নজরদার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ 

রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটি এবং কলকাতা পুলিশ যৌথভাবে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ করে এই নিরাপত্তা প্রযুক্তি বসাতে চাইছে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে। সেখানে থাকবে একটি মনিটরিং রুম। কেউ এই ক্যামেরার নজরদারি এড়াতে পারবে না৷ মানুষের চোখ এড়াতে পারলেও, নজরদার যন্ত্রের চোখ এড়ানো সম্ভব হবে না। 

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা উইনার্স বাহিনীর সদস্যরা এবার থেকে তাঁর বাড়ির নিরাপত্তা সামলানোর বাড়তি দায়িত্বও পালন করবে। গত অগাস্ট থেকে উইনার্সের ১২ জন সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নজরদারির কাজ করলেও আরও কয়েক জন সদস্যকে স্থায়ী ভাবে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷