আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী, CBI তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মান্থা, আরও কড়া আদালত

আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী, CBI তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মান্থা, আরও কড়া আদালত

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

কলকাতা: চাকরি পেতে ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, এর পরেও মেলেনি চাকরি৷ অবেশেষে হতাশায় আত্মহত্যা করেন ওই চাকরিপ্রার্থী। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় নিহত চাকরিপ্রার্থীর পরিবার। সেই দাবি মেনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

আরও পড়ুন- এ বার বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ নবম-দশমের চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের, দ্বারস্থ ডিভিশন বেঞ্চের

 

মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা আবদুর রহমান৷ তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-ডি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, সেই সময় এক দালাল তাঁকে জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা না দিলেও প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়া যাবে। এর জন্য ৬ লক্ষ টাকা দিতে হবে। কিন্তু, এত বড় অঙ্কের টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না। কোনওরকম ২ লক্ষ টাকা জোগাড় করে ওই দালালকে দেন আবদুর। টাক দেওয়ার পর দিনের পর দিন কেটেছে, কিন্তু চাকরি জোটেনি৷ গত সেপ্টেম্বরে আত্মহত্যা করেন তিনি৷ নিজের বাড়ি থেকে আবদুরের দেহ উদ্ধার হয়। ৯ পাতার সুইসাইড নোট লিখে যান তিনি৷ সেখান থেকেই জানা যায়, মানসিক হতাশায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। 

এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে মৃত চাকরি প্রার্থীর পরিজনেরা। কারণ, পুলিশ তার চার্জশিটে নিহত আবদুর রহমানকেই অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতিই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে যান আবদুরের পরিবার। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, মৃতের সুইসাইড নোটে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে জনৈক ব্যক্তির নাম রয়েছে। অথচ লালগোলা থানার পুলিশ চার্জশিটে মৃতের নামই উল্লেখ করেছে। এদিন শুনানি শেষে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।