কলকাতা: শুক্রবার বেলা ১২টা৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ কিন্তু তাতে বিশেষ খুশি নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি যখন এই খবরটি এজলাসে বসে শুনলেন, তখন তাঁর গলা থেকে ঝরে পড়ল একরাশ হতাশা। তাঁর দাবি, এত দিন ধরে তদন্ত চলছে, এখন রঞ্জনকে গ্রেফতার করে কিছুই হবে না।
আরও পড়ুন- জঙ্গলমহল থেকে উত্তরবঙ্গ রাস্তা, বঞ্চনা ইস্যুতে কেন্দ্রকে ফের একহাত মমতার
প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত মামলায় আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এদিন এ বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কে, সৎ রঞ্জন গ্রেফতার হয়েছে তো? হ্যাঁ, আমি জানি।’’ এর পরেই সংশয়ের সুরে বিচারপতি বলেন, ‘‘কিন্তু কী হবে? কিছুই হবে না। গত ৭-৮ মাস ধরে তো তদন্ত চলছে। সৎ রঞ্জনকে ডাকাও হয়েছে৷ এখন তাঁকে গ্রেফতার করে কী হবে? কিচ্ছু হবে না।’’
তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে এর আগেও হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গতকাল এসএসসি মামলায় আলিপুর আদালতের সিবিআই কোর্টের বিচারকও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে রীতিমতো তুলোধোনা করেছে। এদিন সিবিআই-কে নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর।
চন্দন ওরফে সৎ রঞ্জনের ব্যাপার প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। উপেনবাবু বলেছিলেন, ‘রঞ্জন বস্তা ভর্তি করে টাকা নিয়ে গাড়িতে তুলে কলকাতায় দিয়ে আসত। কার বাড়িতে দিয়ে আসত তা তো তদন্ত করতে হবে। কিন্তু কলকাতায় টাকা আসত এটা নিশ্চিত।’ এ ব্যাপারেই লার্জার কনস্পিরেসি তথা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন উপেন। এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে আরও একবার হতাশা প্রকাশ করল হাইকোর্ট।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>