কলকাতা: রাজ্য সরকার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চালু করার পর থেকে এতদিন পর্যন্ত একাধিকবার বিভিন্ন অভিযোগ সামনে এসেছে। কোনও হাসপাতাল এই কার্ড গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়, আবার কোথাও কোথাও কার্ডের অপব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কড়া বার্তা দিলেও খুব একটা বদলায়নি পরিস্থিতি। তাই এবার স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, রাজ্য ও জেলা স্তরে নজরদারি রাখতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- SSC-র প্রকাশিত ‘অযোগ্যদের’ তালিকায় নাম! উদ্ধার নন্দীগ্রামের স্কুল শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কোনও দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ করবে এই দল। যে হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান হয়েছে। আসলে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ শতাংশ হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথীর নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি এও অভিযোগ আসছে যে, কোনও হাসপাতাল বেড নেই বলে ফিরিয়ে দিয়েছে রোগী, আবার কেউ স্বাস্থ্যসাথীর প্যাকেজের থেকে বেশি টাকা রোগীর থেকে নিয়েছে। এইসব দুর্নীতি খতিয়ে দেখতেই রাজ্য সহ জেলা স্তরে নজরদারি টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ব্ল্যাকবোর্ড, চক-ডাস্টার এখন অতীত! পড়াশুনো হচ্ছে ‘স্মার্ট’ ক্লাসরুমে! Know about Jalpaiguri school” width=”835″>
কয়েক মাস আগে আবার স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বড় ঘোষণা করা হয়েছিল। জানান হয়েছিল, এতদিন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হত পরিবারের মহিলাদের নামে৷ কিন্তু এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাবেন ‘সিঙ্গেল পুরুষ’রাও৷ তবে এর জন্য আবেদনকারীকে স্থানীয় কাউন্সিলর বা বিধায়কের কাছ থেকে একাকী, পরিবারহীন হওয়ার ‘বৈধতাপত্র’ সংগ্রহ করতে হবে৷ এবং সেটি জমা দিতে হবে ফর্মের সঙ্গে৷ প্রয়োজনে এসে সত্যতা যাচাই করবেন বিভাগীয় আধিকারিকরা৷ এর পরই ওই একাকী পুরুষকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে৷