কলকাতা: গণধর্ষণের অভিযোগের এক মামলায় পুলিশের তদন্তে প্রক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানতে পেরেছিল যে, গণধর্ষণের অভিযোগের ১০ দিন পরও নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। তবে সেই কাজ এদিন করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অন্যদিকে আরও জানান হয়, মঙ্গলবার থেকেই সিআরপিএফ বা সিআইএসএফ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে নির্যাতিতার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মমতা ম্যাজিক? মেঘালয়ে বিজেপির থেকে বেশি আসন পেতে পারে তৃণমূল: সমীক্ষা
গণধর্ষণের অভিযোগের ১০ দিন পরেও কেন গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি, এই প্রশ্ন তুলে এদিন বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, পুলিশের এমন ব্যবহার যন্ত্রণা দিচ্ছে আদালতকে। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত ঘটনার জন্য ডায়মন্ড হারবার এসপি’কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তিনি গোটা ঘটনা ক্রম খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন। বিষ্ণুপুর থানা ও বাখরাহাট আউট পোস্টের ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে হবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মহিলাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাই আগামী শুনানির আগে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। তার আগে কেন FIR করতে দেরি হল, মহিলা পুলিশ ছিল কিনা, সেই যাবতীয় রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”জড়িয়ে পড়ছেন কি টলি-বলির সুন্দরী লাস্যময়ীরা? Glamorous women who got involved in several scams” width=”560″>
আসলে আদালত পুলিশের কাজেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পুলিশের কাছে জানতে চান, ১৭ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় কেন ঘটনার দিনেই FIR হয়নি? পুলিশ জানায়, লেডি কনস্টেবল ছিল না বাঁকরাহাটে, তাই দেরি হয়েছে। পাল্টা বিচারপতি একাধিক প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেন, ৩৭৬ ধারায় অভিযোগ। কিন্তু লেডি কনস্টেবল না থাকার মানে কী? ১০ দিন হয়ে গেছে। আর লেডি কনস্টেবল নেই, এটা কী চলছে? পুরো সিস্টেম তো ভেঙে দিচ্ছেন। আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানি এই মামলার।
আরও পড়ুন- পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য নেই ১২ বছর! হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
তবে তার আগেই এদিনই বিচারপতি মান্থার এজলাসে কেন্দ্র আবেদন করে জানিয়েছে, সিআরপিএফ বা সিআইএসএফ-এর কোনও বাহিনী দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নেই। তাই তাদের সময় চাই। কিন্তু আদালত তা মানতে চায়নি। বিচারপতির বক্তব্য, আদালত জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলে সেটা কেন্দ্র দিতে পারবে না এটা হয় না। আগামীকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিরাপত্তা দিতে হবে নির্যাতিতা এবং তার বাড়িকে। স্পষ্ট করেন তিনি।