কলকাতা: দু’জনই গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। দু’জনই ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। একজনকে শনিবার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যজন গ্রেফতারির ৪০ দিন পর জামিন পেয়ে শনিবারই জেল থেকে বেরিয়েছেন। কথা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগের গ্রেফতার হওয়া কংগ্রেস নেতার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন নওশাদ।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা বাতিল করা হোক, ৩ রাজ্যের ফল ঘোষণা হতেই খড়্গহস্ত শুভেন্দু
জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচিকে। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর বারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে কৌস্তভের পরিবার। এবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাম নেতাদের মতো তিনিও গ্রেফতার হওয়া কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীর পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী কী মানিকই থাকবেন, নাকি অন্য কেউ? Who will be CM of Tripura?” width=”853″>
সদ্য সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম রাজ্যে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। এই জয়ের পরেই কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পালটা জবাব দেন কৌস্তভ। কংগ্রেস নেতার কথায়, এই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কৌস্তভের এই গ্রেফতারি নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর প্রতিবেশীরা বুঝতে পারছে না যে ঠিক কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে এই গ্রেফতারির পর পুলিশি ধরপাকড়ের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস, সিপিএম সহ বিরোধী দলগুলি।