‘আবদার’ করলেও মিলল না মিষ্টি, ED হেফাজতে কেমন কাটল কেষ্টর প্রথম রাত?

‘আবদার’ করলেও মিলল না মিষ্টি, ED হেফাজতে কেমন কাটল কেষ্টর প্রথম রাত?

নয়াদিল্লি: আসানসোল জেল থেকে বেরিয়ে তাঁর ঠিকানা এখন দিল্লি৷ সেখানে  আপাতত তিন দিন ইডি হেফাজতে খাকবেন  গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার বীরভূমে জেলা তৃণমূল সভাপতি। কলকাতা থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে ইডি’র সদর দফতরে প্রথম রাত কাটাল কেষ্টর। বুধবার সকাল থেকেই তদন্তকারী অফিসারদের জেরার মুখে পড়তে হবে তাঁকে।  ইডি হেফাজতে কেমন কাটল তৃণমূলের দাপুটে নেতার প্রথম রাত? 

আরও পড়ুন- রাবড়ীর পর লালু, চাকরির বিনিময়ে জমি নেওয়ার মামলায় সিবিআইয়ের মুখে

দোলের দিন সকালে আসানসোল থেকে বার করে কলকাতায় ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় কেষ্টকে৷ সেখানে শারীরিক পরীক্ষার পর ‘ফিট’ সার্টিফিকেট দেন চিকিৎসকরা৷ তাঁরা জানান, তৃণমূল নেতার গুরুতর কোনও সমস্যা নেই যে হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হবে৷ এর পরেই তাঁকে নিয়ে দিল্লি রওনা দেন ইডি আধিকারিকরা৷ গভীর রাতে বিচারকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সওয়াল জবাব শোনার পর তাঁকে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেখানে রাতে হালকা খাবারই খান অনুব্রত। তবে মিষ্টি খাওয়ার আবদার করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু, শরীর-স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে তাঁকে মিষ্টি দেওয়া হয়নি৷ সূত্রের খবর, দীর্ঘ যাত্রাপথের ধকল থাকা সত্ত্বেও প্রায় নিদ্রাহীন রাত কাটান তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। বুধবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেও পড়েন। চা, বিস্কুট দেওয়া হয় কেষ্টকে। প্রাতঃরাশে খান রুটি-সবজি।

বিচারকের নির্দেশে  আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত অনুব্রত ইডি হেফাজতেই থাকবেন। এই সময় প্রত্যেক দিন হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে তাঁর। প্রতি দিন তাঁর আইনজীবীরাও আধঘণ্টার জন্য অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে পারবেন। জেরায় অনুব্রতর কাছ থেকে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার৷