কলকাতা: শাসক দলের যুবনেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেফতার করেছে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে। নিয়োগ কাণ্ডে অন্যতম ধৃত আরও এক যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বয়ানের ভিত্তিতেই শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তারপর অবশেষে শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু শান্তনু নিজেকে স্পষ্টত নির্দোষ বলে দাবি করছেন। একই সঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন তা ভীষণ জল্পনা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন- বাড়ছে গ্যাসের দাম, কী করে জ্বালানির সাশ্রয় করবেন? মেনে চলুন সহজ নিয়মগুলি
সংবাদমাধ্যমের সামনে শান্তনুর বক্তব্য, জেলে যারা আছে তারাই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে! কিন্তু তিনি নির্দোষ। তবে জেলবন্দি কাদের উদ্দেশ্যে তিনি মূলত এই অভিযোগ আনলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়, তিনি কোনও নামও নেননি। কিন্তু অনেকের মতে, শান্তনু কুন্তল ঘোষের কথাই আদতে বলতে চেয়েছেন। কারণ তাঁর বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই শান্তনুকে নিজেদের নজরে নিয়েছিল ইডি। তবে শান্তনু পরে কোনও নাম জনসমক্ষে নেন কিনা তা জানার অপেক্ষা আছে। এদিকে আবার তাঁকে নিয়ে বড় দাবি করেছে ইডি। গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, মাথাপিছু চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৪-৫ লক্ষ টাকা নিতেন শান্তনু।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”রাস্তাতেই বসে পড়লেন অনুব্রত…! Anubrata Mondal’s reaction after court extends ED custody” width=”853″>
কেন্দ্রীয় সংস্থার বক্তব্য, ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে। তার মধ্যে ২০ জনের চাকরি করে দিয়েছিলেন তিনি। আর প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী পিছু ৪-৫ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন। এমনকি ইডির এও দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি করে দিতে সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে সুপারিশ করতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।