কলকাতা: ডিএ আন্দোলনকারীরা আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে তাদের দাবি না মানা হলে আরও বড় রকমের আন্দোলনে যাবেন তারা। কর্মবিরতি এবং একদিনের ধর্মঘট করেও তারা আদতে লাভ পাননি। কিন্তু নিজেদের অবস্থান থেকে কোনও নড়চড় তারা করেননি। সেই প্রেক্ষিতেই ‘ডিজিটাল ধর্মঘট’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। শনিবার থেকেই যা শুরু হচ্ছে। তাহলে এতে কি প্রভাব পড়বে সরকারি কাজ, প্রশ্ন এখন এটাই।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারির এতদিন পর পদক্ষেপ, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল এবং শান্তনু
‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’ সংগঠন ‘ডিজিটাল অসহযোগ’ করবে বলে ঠিক করেছিল। আজ থেকেই তা শুরু হচ্ছে। সংগঠনের তরফ থেকে এই ‘ডিজিটাল ধর্মঘট’ পালনের জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মচারী, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য। সেই নির্দেশনামায় এমন কিছু আছে যাতে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু আদৌ কি তা হবে নাকি সরকারি কাজ প্রতিদিনের মতোই স্বাভাবিক চলবে, সেটাই এখন দেখার। উল্লেখ্য, সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, তাদের ধর্মঘট একদমই সফল হয়নি, উপস্থিতির হার উক্ত দিনে ৯০ শতাংশের বেশিই ছিল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”দেবকে নতুন দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর! CM Mamata makes Dev brand ambassador of Bengal tourism” width=”560″>
কিন্তু এইবার ঠিক কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? সংগঠন জানিয়েছে, শনিবার থেকে সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত মোবাইলে কোনও দফতরের সরকারি কাজের জন্য আসা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ফোন যেন না ধরা হয়। আদেশ গ্রহণের প্রশ্নই নেই। এমনকি ঊর্ধ্বতনের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট মারার কথাও বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ছুটির দিন সরকারি কাজ কোনও শর্তেই যেন না করা হয়, অনলাইন মিটিং যেন অফিস টাইমের বাইরে না করা হয়। এছাড়া নিজস্ব ফোন, কম্পিউটার বা ডেটা ব্যবহার করেও যেন কেউ সরকারি কাজ না করে।