কলকাতা: দীর্ঘ ৩৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল৷ সোমবার ভোর রাতে অয়নকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে৷
আরও পড়ুন- কেষ্টর পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা! কার দাক্ষিণ্য? উত্তর খুঁজছে ইডি
শনিবারই বলাগড়ে শান্তনুর রিসর্টে তাঁর বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকরা। ইডির অপর একটি দল পৌঁছয় অয়নের বাড়িতে। এই অয়নও শান্তনু-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। জগুদাস পাড়ায় প্রোমোটার অয়নের তৈরি করা একটি আবাসনে ফ্ল্যাট রয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন শুধু অয়নকেই নয়, জেরা করা হয়, তাঁর মা, বাবাকেও৷ বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। অয়নের বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ইডি আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু ফাইল দেখা যায়। অয়নের পরিবার সূত্রে খবর, একাধিক কাগজে অয়নের বাবা সদানন্দ শীলকে দিয়ে নাকি সই করিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা৷
এদিন তল্লাশি চালানো হয় অয়নের দুটি বিলাসবহুল গাড়িতেও। ওই গাড়ি দুটি অয়নের কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এদিন ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর অয়নের অফিস থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন ইডি কর্তারা। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক এবং মোবাইল থেকেও প্রচুর তথ্য খুঁজে পেয়েছেন ইডি-র কর্তারা। অয়নের অফিসে থাকা কম্পিউটারে ডিজিট্যাল ফর্ম্যাটে প্রচুর তথ্য রয়েছে বলেও দাবি। এই সব নথি তুলে ধরে অয়নকে প্রশ্ন করা হলে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি অয়ন৷
ইডি সূত্রের খবর, পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রায় শতাধিক ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিও। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোনও সরকারি কর্তাব্যক্তি নন অয়ন৷ এক জন প্রোমোটারের অফিসে কী ভাবে এই নথি এল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের দাবি, এই সমস্ত বিষয়ে জবাব খুঁজতেই অয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>