কলকাতা: সদ্য গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। নিয়োগ কাণ্ড নিয়ে একে একে যে যে তথ্য উঠে আসছে তার মোড় অবশ্যভাবেই ঘুরিয়ে দেবে এই দাবি। ইডি জানিয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের। কিন্তু কার মাধ্যমে কথা হত, কে তাদের চিনিয়ে দিয়েছেন, তা জানলে অঙ্কটা হয়তো স্পষ্ট হয়ে যাবে আরও।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর মউ স্বাক্ষর দোরগোড়ায়, শহরে শাখা প্রায় নিশ্চিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের
ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অয়ন শীলের মধ্যে ‘সেতু’ ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। আর আদালতে ইডি এটাও জানিয়েছে যে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হুগলির অন্য তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন খতিয়ে দেখে এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেই এ বিষয়ে জানতে পেরেছে তারা। এক কথায়, ওই তিনজনের যোগসূত্রের কথা বলেছেন খোদ শান্তনু। এদিন বিচারকের সামনে ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, তদন্তে উঠে আসা নথি দেখে কার্যত তিনি স্তম্ভিত। দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের প্রায় সব দফতরে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে! আরও বলা হয়েছে, এখন মনে করা হচ্ছে যে তারা সোনার খনিতে প্রবেশ করেছেন। যতদিন এগোবে, জানা নেই যে কত সোনা মিলবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”শান্তনু ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাটে মিলল TET-এর ওএমআর শিট! OMR sheets found in Ayan Sil’s flat” width=”853″>
গোয়েন্দা আধিকারিকরা দাবি করেছেন, ৬০ টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। আর এই দুর্নীতির টাকা অয়ন শীলের হাত থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছত। এছাড়া কুন্তল ঘোষের পাশাপাশি আরও অনেক এজেন্ট এর মধ্যে জড়িয়ে যারা অয়ন এবং পার্থর মধ্যে যোগসাজস রাখার কাজ করতেন। এইভাবে ৬০ টি পুরসভায় অন্তত ৫ হাজার জনকে বেআইনিভাবে টাকার বিনিময় চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি ইডির।