কলকাতা: স্কুলে গ্ৰুপ সি কর্মী নিয়োগে কাউন্সেলিংয়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সামনে কাউন্সেলিংয়ের পথে আর বাধা রইল না৷ গ্রুপ সি’র চাকরিচ্যুতরা অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর করল না উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন- ‘ঘি নিয়ে ঘেউ ঘেউ’, কাদের বিঁধলেন তৃণমূল বিধায়ক?
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এর আগে চাকরি গিয়েছে গ্রুপ সি-তে ‘অবৈধ’ নিয়োগ পাওয়া ৮৪২ জন কর্মীর৷ গ্রুপ সি!র ওই চাকরিহারা প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বুধবার চাকরি খোয়ানো প্রার্থীদের আইনজীবীর সওয়াল, ‘‘এসএসসি-র বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত করা উচিত। বাদ দেওয়া উচিত নয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকদেরও।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘সবাই এঁদের অনুমতি নিয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই সকলের ভূমিকাই খতিয়ে দেখা উচিত।’’ এর পরেই আইনজীবীর সংযোজন,‘‘তার পর খেলা হবে।’’ যদিও সঙ্গে সঙ্গে আইনজীবীকে ওই শব্দবন্ধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।
চাকরিচ্যুতদের পক্ষে আরেক এক আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে বলেন, ‘‘নাইসা থেকে যে উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে, সেটা দিয়েই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিন্তু নাইসার ভূমিকা নিয়েই তো প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, উত্তরপ্রদেশ সরকার ওই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।’’ আদালতে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সিবিআইয়ের উদ্ধার করা ওএমআর শিট যে বিকৃত করা হয়নি, তার প্রমাণ কী?’’
জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে, এমন ধারণা না থাকাই ভালো। তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা শুধুমাত্র স্ক্যান কপি নয়। ওএমআর শিটের একটা জটিল প্রযুক্তিগত দিক রয়েছে। এটা সাধারণ কাগজের টুকরো নয়। এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উচ্চ প্রযুক্তি রয়েছে। এর সঙ্গে একটা আনসার স্ট্রিংও থাকে। যার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়। ওএমএর শিট এসএসসির অফিসে স্ক্যানও করা হয়।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>