কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এখন চর্চার কেন্দ্রে অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী৷ মডেলিং-অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি কামারহাটি পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদেও কর্মরত৷ কিন্তু, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর থেকেও বেপাত্তা শ্বেতা৷ কাজে যাচ্ছেন না৷ সোমবার ভোরে অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর আর দেখা নেই৷ লিভের আবেদন ছাড়াই অফিস আসা বন্ধ করেছেন৷ এর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে৷ শ্বেতাকে শো-কজ করতে চলেছে কামারহাটি পৌরসভা।
আরও পড়ুন- সন্তানদের স্কুলের ফি দিতে পারছেন না, দাবি কুন্তলের! কোটি টাকার সম্পত্তির তত্ত্ব ওড়ালেন
শ্বেতার বাড়ি নৈহাটির বিজয়নগরে। বাবা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রাক্তন কর্মী। চাকরির পাশাপাশি চলত মডেলিং অভিনয়৷ তাঁর বাবা জানান, ছোট থেকেই মেধাবী ছিল মেয়ে৷ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলেও বরাবরই মডেলিং, অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। কামারহাটির পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজের পাশাপাশি অভিনয়ও করতেন শ্বেতা। কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহার কথায়, ২০১৯ সালে কামারহাটি পুরসভায় শতাধিক কর্মী নিয়োগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন শ্বেতা। তবে অয়নের সুপারিশেই শ্বেতা এই চাকরি পেয়েছেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ শ্বেতার চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি৷ পাশাপাশি শ্বেতা ও অয়নের একাধিক যৌথ সম্পত্তি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গত শনিবার বিকেলে চুঁচুড়ায় অয়নকে ডেকে জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। বিকেলে তাঁরা পৌঁছে যান অয়নের সল্টলেকের দফতরে। সেখান থেকে একাধিক নথি উদ্ধার করেন তাঁরা৷ রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় অয়নকে বিধাননগরে নিয়ে আসা হয়। রবিবার দিনভর তাঁর দফতরে তল্লাশি চালায় ইডি। সোমবার ভোর ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ অয়ন গ্রেফতার হন। এর পর থেকে ৩৬ ঘণ্টা কোনও খোঁজ মেলেনি শ্বেতার৷
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এমন চলতে থাকলে শ্বেতাকে শোকজ করা হতে পারে৷ তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও খবর।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>