এ কী অবস্থা পশুরাজের? করুণ পরিণতিতে সিংহদের কুকুর বলে ভ্রম!

এ কী অবস্থা পশুরাজের? করুণ পরিণতিতে সিংহদের কুকুর বলে ভ্রম!

আবুজা: সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে খাঁচার মধ্যে বন্দি রয়েছে কঙ্কালসার একটি সিংহ। ছবিটা যে পশুরাজ সিংহের, তা বুঝতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে, চিড়িয়াখানায় খাঁচায় রয়েছে কুকুর। ছবিটা কয়েকদিন আগের হলেও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি  নাইজেরিয়ার একটি চিড়িয়াখানার। ছবিটি দেখে নেটিজেনরা নিন্দায় সরব হয়েছেন। অনেকেই এভাবে কোনও পশুকে না খেতে দিয়ে বন্দি করে রাখার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

এর আগেও নাইজেরিয়ার চিড়িয়াখানার এই দুই সিংহের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। জানা গিয়েছে, এক পর্যটক এই দুই সিংহের ছবি তুলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে পাঠিয়েছিলেন। জানা যায়, সিংহের এমন অবস্থা দেখে ওই স্বেচ্ছাসেবীর প্রতিনিধি দল তাদের উদ্ধার করতে আসে।  প্রতিনিধি দলটির তরফে জানানো হয়, সিংহদুটো এতটাই দূর্বল ছিল যে, মানুষ দেখে তারা সরে যাওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি। কারণ তাদের নড়ার ক্ষমতা পর্যন্ত ছিল না।  স্বেচ্ছাসেবীদের দলটি ওই সিংহদুটো উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যে  সিংহদুটোর খাবারের ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শুধু ওই সিংহ দুটো নয়, নাইজেরিয়ায় ওই চিড়িয়াখানার যে কটা পশু ছিল, সকলের প্রায় একই অবস্থা। পর্যাপ্ত ,খাবারের অভাবে প্রতিটি প্রাণী দূর্বল হয়ে পড়েছে। সমস্ত প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সকলের পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য হল বিশ্বের সমস্ত সিংহের কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন খামার  বন্ধ করা। কারণ, কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন করে সিংহদের বংশবৃদ্ধি করা হয়। সেগুলো ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা হয়। পশুদের পরবর্তী যত্নের দিকে কোনও নজর রাখা হয় না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল কী করে বেশি টাকা আয় করা যায়। 
 

দুটো সিংহের ভয়ঙ্কর এই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছেন নেটিজেনরা। সাধারণত চিড়িয়ানায় যে সমস্ত পশু ও পাখিদের দেখতে পাওয়া যায়, তাদের রীতিমতো যত্ন করা হয়। পর্যাপ্ত খাবার ও জলের পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক চিড়িয়াখানা রয়েছে, যেখানে পশুদের কোনও রকম যত্ন নেওয়া হয় না। অনাহারে অসহায় পশুদের দিন কাটাতে হয়।  নাইজেরিয়ার চিড়িয়াখানা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − sixteen =