মোদীর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সাংসদের সাক্ষাৎ, পঞ্চায়েতের আগে এই সাক্ষাৎ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

মোদীর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সাংসদের সাক্ষাৎ, পঞ্চায়েতের আগে এই সাক্ষাৎ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার এই সাক্ষাৎ হতে পারে।

 

কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সুকান্ত মজুমদার-সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক সাংসদ। এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। সুকান্তের নেতৃত্বে মঙ্গলবার মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। সেই সঙ্গে সংগঠন সংক্রান্ত বিষয়ও উঠে আসতে পারে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেছেন,”মোদিজি আমাদের অভিভাবক। তিনি কোনও পরামর্শ দিলে সেটা আমাদের কাছে নির্দেশ। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সেটা পালন করি। এবারও সেই কৌতুহল নিয়ে যাব যে তিনি কোন পথনির্দেশ করেন”। পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে কড়া নাড়ছে। তার এক বছর পরই হবে লোকসভা ভোট। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রত্যাশিত ফল করতে না পারলেও আগামী লোকসভা নির্বাচনে গতবারের মতো ভাল ফল করতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছে বামেদের সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। একুশের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে ছিল। কিন্তু উপনির্বাচনে তারা তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে। এবার বিজেপি প্রার্থীর জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে গত দু’বছর ধরেই রাজ্য বিজেপির শক্তিক্ষয় হচ্ছে। এই আবহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।  

 

দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তাড়া করে বেড়াচ্ছে তৃণমূলকে। যদিও বিজেপির দাবি এই সমস্ত কাণ্ডে আসল মাথাদের ধরতে হবে। সেই কাজে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি ততটা সক্রিয় নয় বলে বিজেপিরই একাংশের অভিযোগ রয়েছে। যে বিষয়টিকে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ‘সেটিং’ বলে কটাক্ষ করেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির ধারণা এতে পশ্চিমবঙ্গে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়টির কথা তুলে ধরতে পারেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। দুর্নীতির তদন্তে যাতে আরও গতি আসে সেই আবেদন তাঁরা জানাতে চলেছেন বলে খবর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের এক বছর পরই হবে লোকসভা ভোট। বলাবাহুল্য পঞ্চায়েতের তুলনায় বিজেপি অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে লোকসভা ভোটকে। তাই লোকসভা নির্বাচনে আগে বিজেপির বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা বাংলার সাংসদরা নিজেদের এলাকায় তুলে ধরছেন কিনা সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই বৈঠকের পর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব নতুন দিশা পাবেন বলে দাবি করা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =