‘বিজেপিকে পোস্টাল ব্যালট দিলেই পাইয়ে দেবে?’ ‘চিরকুটে চাকরি’, ‘সব খুঁজে বার করব’, হুঁশিয়ারি মমতার

‘বিজেপিকে পোস্টাল ব্যালট দিলেই পাইয়ে দেবে?’ ‘চিরকুটে চাকরি’, ‘সব খুঁজে বার করব’, হুঁশিয়ারি মমতার

কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা ও গণতন্ত্রের কন্ঠরোধের অভিযোগে রেড রোডে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবার ধর্নার দ্বিতীয় দিনে মঞ্চ থেকে ডিএ আন্দোলনকারীদের একহাত নিলেন তিনি৷ খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘চিরকুটে চাকরি হয়েছে৷ পেনশন-বেতন নিয়ে আরও চাই?’ 

আরও পড়ুন- অনেকের নম্বর কমিয়ে শূন্য করা হত! বাম আমলকে বিঁধলেন প্রাক্তন সিপিএম নেতাই

এদিন ধর্না মঞ্চ থেকে সিপিএমের দিকে আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, ‘বিজেপি আর সিপিএম হল বাম আর রাম৷ বিজেপি, সিপিএম মিলিয়ে কতজন বসে আছেন কোঅর্ডিনেশন কমিটির নামে। সব নথি সরিয়ে দেয়। আমি সব দফতরকে খুঁজে দেখতে বলেছি। যত খুঁজবে তত মিলবে।’’ এর পরেই তিনি শশী পাঁজাকে সিপিএমের অনিয়মের তালিকা দেখাতে বলেন। মমতা বলেন, যাঁরা গণশক্তিতে কাজ করেন তাঁদের প্রত্যেকের স্ত্রী শিক্ষিকা। সব চিরকুটের চাকরি। বাঁকা সুরে তিনি বলেন, ‘‘চিরকুটে চাকরি! পেনশন-বেতন নিয়ে আরও চাই?’’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মমতা আরও বলেন, ‘‘জনগণের টাকা নিয়ে পেনডাউন করবেন? যারা পেনডাউন করেছেন তারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন। সব ফাইল খুঁজে বের করতে বলেছি। টাকা নিচ্ছে। পেনশন নিচ্ছে। আরও চাই। এক তারিখ হলে আগে বেতন পেতেন না। এখন এক তারিখে পেনশনও পান! তার পরও আপনাদের চাই?’’ তিনি বলেন, এত অনটন থাকা সত্ত্বেও আমরা ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী ১০৬ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। সব বকেয়া মিটিয়ে দিয়েছি। 

  
এরপর ডিএ আন্দোলনকারীদের খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি’কে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিলে কি বিজেপি পাইয়ে দেবে? ত্রিপুরায় বলেছিল দেবে। ওখানে ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। একজনকেও নতুন করে চাকরি দিতে পারেনি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্য প্রদেশেও পারেনি। উল্টে এখানে প্রতিদিন কারও না কারও বাড়িতে ইডি-সিবিআইই ঢোকানো হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কাণ্ডের আজও বিচার হয়নি। তদন্তকারীদের খুন করা হয়েছে। ’’

গতকালও মমতা  অভিযোগ করেছিলেন, ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে বসে থাকা সরকারি কর্মীরা ‘চিরকুট’ সুপারিশের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন। ধর্না মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘প্রতিদিন আপনারা এখানে গিয়ে এই চাই, ওখানে গিয়ে ওই চাই। চোর-ডাকাতগুলো। যে চোর-ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল। সব গিয়ে বসে আছে ওখানে, ডিএ-র ওখানে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে। জ্ঞানদাতার, চোরেরা, ডাকাতরা, ডাকাত সর্দাররা।’    

 

এদিন সাংবাদিকদের উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি। একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলের নাম তুলে বলেন, ‘ বাংলা সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা কি ইংরেজি মাধ্যমের সাংবাদিকদের সমান বেতন পান? জাতীয় স্তরের থেকে রাজ্য আলাদা। রাজ্যের থেকে জেলা আলাদা। কেন্দ্র তো ১৮ মাসের ডিএ আটকে দিয়েছে। আমরা সব বকেয়া মিটিয়েছি।’ 

ঘোষণা

এই প্রতিবেদন আজ বিকেল ডট কমের নিজস্ব। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই প্রতিবেদন আজ বিকেল ডট কমের পাতায় নাও দেখা যেতে পারে৷ ফলে, সব খবরের জন্য অবশ্যই নজর রাখুন https://aajbikel.com/ -এই লিঙ্কে৷

আমাদের ফেসবুক পেজ – https://www.facebook.com/Aajbikal

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল- https://www.youtube.com/@AajBikelNews -এ নজর রাখতে পারেন