কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ধৃত ১৪ জনকে বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ঢোকার আগে নিজের বিধানসভার বাসিন্দাদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এদিন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য কী। পার্থ অবশ্য এই প্রশ্নের জবাব দেননি৷ বদলে তিনি বলেন, ‘‘বাংলা শুভ নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন- উত্তর দিলেই সকলকে নম্বর, টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
এদিন এসএসসি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলার শুনানি ছিল নগর দায়রা আদালতে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ১৪ জনকে হাজির করানো হয়এজলাসে৷ সকাল ১১টার কিছু পরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে পুলিশের গাড়ি চেপে আদালতে হাজির হন প্রাক্তন মন্ত্রী। গাড়ির দরজা খুলতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা৷ ধেয়ে আসে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন পার্থকে। কুন্তলের চিঠি থেকে শুরু করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সিবিআই নিষ্ক্রিয় কি না, সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়। তবে যে প্রশ্নটি বার বার পর এক প্রশ্ন৷ জানতে চাওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের তকমা হারানোর প্রসঙ্গ। তবে এই প্রশ্ন শুনে একটি শব্দও খরচ করেননি পার্থ।
তৃণমূলের শুরুর দিন থেকেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হয়৷ এর ১৮ বছর পর ২০১৬ সালে জাতীয় দলের তকমা পায় ঘাসফুল শিবির। পার্থ সেই সময় দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। ওই বছরই তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হন। পরের বছর তাঁর জন্য তৈরি হয় ‘মহাসচিব’ পদ। তবে গত বছর নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে ছেঁটে ফেলে দল। এ নিয়ে কোনও দিন কোনও মন্তব্য করেননি তিনি৷ উল্টে বারবারই দাবি করেছেন, কেউ তৃণমূলের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে উৎসুখ রাজনৈতিক মহল৷ তবে মুখ খুললেন না পার্থ। শুধু বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢুকে গেলেন আদালতের ভিতরে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>