বেজিং: বিগত কয়েক বছরে যে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে তা বলাই যায়। লাদাখ সীমান্ত ইস্যু নিয়ে তোলপাড় চলেছে, দুই রাষ্ট্র একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। সমাধান খুঁজতে বৈঠক হয়েছে বহুবার কিন্তু তাতে আজ পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। উলটে বেড়েছে নিষেধাজ্ঞার বহর। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, বেজিং প্রশাসন তার সেনাবাহিনীতে হিন্দি জানা যুবকদের নিয়োগ করা বাড়াচ্ছে। হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল তারা?
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসংঘের মহসচিব থাকাকালীনই পরপর ২টি মিসাইল হামলা রাশিয়ার, আহত কমপক্ষে ১০
বিশেষজ্ঞরা এই ব্যাপারটি নিয়ে খুবই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, খুব সহজে যাতে তারা ভারত সম্পর্কে গোপন তথ্য জোগাড় করতে পারে, সীমান্তের রাজ্যগুলিতে আরও নজরদারি বাড়াতে পারে, সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং সরকার। মূলত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার নীচের অংশ যেখানে উত্তর পূর্বভারতের রাজ্যগুলি ও উত্তরাখন্ড রয়েছে সেই জায়গার উপর বাড়তি নজর রাখতে চাইছে চিন। সেই কারণে তিব্বত মিলিটারি জেলাতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই চিনের বিভিন্ন কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয় নিয়ে পড়ুয়াদের অবগত করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোচ্ছে বলে খবর।
তবে পিছিয়ে নেই ভারতও। আমাদের দেশের সেনাবাহিনীও নিজেদের মতো করে চিনের মান্দারিন ভাষা শিখে নেওয়ার তালিম নিচ্ছেন। সেনারা যাতে এই ভাষা তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারে তার জন্য তিবেতোলজির কোর্স করানো শুরু হয়েছে, জায়গায় জায়গায় ক্লাস করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।