কলকাতা: ২ মে, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে সরকার, সরকার-পোষিত এবং সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গরমের কথা মাথায় রেখেই ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার৷ কিন্ত, কবে ফের স্কুল খুলবে, তা জানেন না শিক্ষকরাও। শিক্ষা দফতরের তরফে স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরই জানা যাবে, কবে শেষ হবে গ্রীষ্মের ছুটি৷
আরও পড়ুন- কলকাতা হাই কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি হলেন টিএস শিবজ্ঞানম
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ঝড়-বৃষ্টির জেরে আবহাওয়ার অনেটকাই উন্নতি হয়েছে৷ কমেছে গরমের দাপট৷ এই অবস্থায় তড়িঘড়ি কেন স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হল? বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের তরফে ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷ এ বার একেবারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে চিঠি পাঠিয়ে পরিবর্তিত আবহাওয়ায় স্কুল খুলে রাখার অনুরোধ জানাল তারা।
শনিবার স্কুল হয়েই গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। রবিবার এমনিতেই ছুটি থাকে৷ সোমবার মে দিবস উপলক্ষে স্কুল বন্ধ ছিল৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একাংশের কথায়, “শনিবার বেশ কয়েকজন পড়ুয়া জিজ্ঞেস করেছিল কবে স্কুল খুলবে। আমরা সেই উত্তর দিতে পারিনি। বড় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে আমাদের।” অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “এখন আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি, তাতে স্কুলে গরমের ছুটি দেওয়ার কোনও অর্থ নেই। আবার তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হলে ছুটি দেওয়া হোক। এই রকম আবহাওয়ায় পড়ুয়াদের স্বার্থে স্কুল খোলা থাকুক। আমরা শিক্ষা দফতর এবং শিক্ষামন্ত্রীকে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছি।”
পঠনপাঠন তো বটেই, গরমের ছুটি উপলক্ষে দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকলে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনেও সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁরা জানান, গত চার বছর ধরে স্কুলে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করা যাচ্ছে না। প্রথম দু’বছর বাধা ছিল কোভিড৷ গত বছরেও অতিরিক্ত গরমের জেরে আগেভাগে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারেও তাই করা হল৷
এদিকে, শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “তড়িঘড়ি গরমের ছুটি দেওয়ায় খুশি নন বেশিরভাগ অভিভাবক। তাঁদের অনেকেরই প্রশ্ন, বেসরকারি স্কুল তো গরমের ছুটি দিল না। তা হলে সরকারি স্কুল বন্ধ কেন? প্রয়োজনে তো সকালের দিকে স্কুল করা যেতেই পারত।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>