কলকাতা: গরমের কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার থেকে সরকার, সরকার-পোষিত এবং সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্ত, কবে ফের স্কুল খুলবে, তা জানেন না শিক্ষকরাও। এই ইস্যুতে এবার গর্জে উঠল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। অনির্দিষ্টকালের গরমের ছুটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি করল তারা। ‘আর ছুটি নয়, আমরা স্কুলে পড়াতে চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ দেখান অন্তত ২০০ শিক্ষক বলে দাবি তাঁদের।
এদিন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে গরমের অজুহাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল ছুটি দেওয়ার বিরুদ্ধে কলেজ স্কোয়ারের বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছুটির তালিকা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলিতে আগামী ১৫ বা ২৪ মে থেকে ৩ সপ্তাহের জন্য গরমের ছুটি পড়ার কথা। কিন্তু তাপপ্রবাহের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী গরমের ছুটি এগিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। তবে বর্তমানে তাপমাত্রা স্বাভাবিক। আবহাওয়া দফতর প্রায়ই ঝড়, বৃষ্টির আভাস দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও ছুটি এগিয়ে আনা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হবে কেন, এই প্রশ্নই তুলছে সংগঠন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”টেট নিয়ে বড় ঘোষণা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের! Justice Abhijit Gangopadhyay on Primary TET” width=”853″>
আরও দাবি করা হয়েছে, স্কুলে সবেমাত্র প্রথম পর্বের মূল্যায়ন শেষ করে দ্বিতীয় পর্বের পাঠ শুরু হয়েছে। এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডার বক্তব্য, সরকার ছাত্রের অভাবে ৮ হাজার ২০৭টি স্কুল তুলে দেওয়ার তালিকা তৈরি করেছে। এরপর বারবার ছুটি দিলে শিশুরা আরও অমনোযোগী হবে এবং ব্যাপক স্কুলছুট বাড়বে। তাই গরমের জন্য এগিয়ে আনা এই অনির্দিষ্টকালের ছুটি বাতিল করে পঠনপাঠন শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিনের এই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা, অজিত হোড়, সতীশ সাউ, দীপঙ্কর মাইতি, বিকাশ নস্কর, শ্রীমন্ত ধাড়া, সুমিতা মুখোপাধ্যায় সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা বিশিষ্ট ভূগোলবিদ ড: কানাইলাল দাস। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মোসাব্বর হোসেন।