নয়াদিল্লি: নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। আর সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি পুরোটাই হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে। সিবিআই দাবি করেছে, প্রাথমিক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তার গোটাটাই মানিক ভট্টাচার্যের সজ্ঞানে হয়েছে, তিনিই মূল কারিগর। শুধু তাই নয়, তাঁর নির্দেশেই অন্যান্যরা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই সিবিআইয়ের এই রিপোর্ট বিরাট চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
সিবিআই রিপোর্ট শুধু একটি মাত্র বিষয়ের ওপর জোর দেয়নি। তারা তাদের রিপোর্টে আরও বলেছে যে, পর্ষদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল মানিক ভট্টাচার্যর হাতে, কিন্তু তদন্তের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি সবটা এড়ানোর চেষ্টা করছেন। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে তুলেছে সিবিআই। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের একটি সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের প্রাথমিক সংসদের সভাপতি পদে মেয়াদ ২ বার (২০১৬ ও ২০১৮ সাল) বাড়িয়েছিল তৃণমূল সরকার। সেটা কেন বা কী কারণে তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”কেন তড়িঘড়ি গরমের ছুটি ঘোষণা, শিক্ষামন্ত্রীকে অভিভাবকদের চিঠি! Parents write letter to Bratya Basu” width=”853″>
সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া রিপোর্টে সিবিআই আরও দাবি করেছে, অন্তত ৩৬ জন এমন প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে যায় টেট পাশই করেনি। অন্যদিকে উর্দুতে টেট পাশ করেছেন এমন ২ জন প্রার্থীকে বাংলা মাধ্যমে শিক্ষকতায় নিয়োগ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের স্পষ্ট দাবি, এই দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁরা সব কাজ মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে করেছেন।