রায়গঞ্জ: গত বুধবার সকালে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি এবং তাদের সঙ্গে আয়কর দফতরের আধিকারিকরাও। বাড়ি ছাড়াও বিধায়কের অফিসও তল্লাশি চালায় তারা। তবে অবশেষে ৩০ ঘণ্টা পর অফিস থেকে কিছু নথি সংগ্রহ করে বেরিয়ে গেলেন তারা। বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর দাবি, কিছু না পেয়ে, খালি হাতেই তারা বেরিয়ে গিয়েছেন। এরপর এলাকায় তাঁর অনুগামীরা মিছিল বের করে।
বিধায়ক শুধু নন, তাঁর হিসাবরক্ষক, ম্যানেজার, ব্যবসার অংশীদারদের বাড়িতেও তল্লাশি শুরু করেছিল আয়কর দফতর। রাতভর চলে সেই তল্লাশি এবং একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদও। এরপর রাতের দিকে আধিকারিকদের তৎপরতা আরও বাড়ে এবং ভোর হওয়ার কিছু আগেই বিধায়ককে নিয়ে তাঁর অফিসে চলে যান তারা। অনেকের ধারণা হয়েছিল যে, অফিস থেকে কিছু এমন তথ্য তারা পাবেন বলে আশা করছেন যা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু শেষমেষ আয়কর আধিকারিকরা বিধায়কের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ায় তেমন কিছু মিলেছে বলে মনে হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী আগেই দাবি করেছিলেন তিনি যে দুর্নীতি করেননি, মানুষের হয়ে কাজ করেছেন, তা প্রমাণ হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বাংলার বাইরেও ‘ভগবান’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? Teachers of ECL-run schools full of hope” width=”560″>
যদিও এর আগে একাধিকবার রায়গঞ্জের বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আয়কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিজেপিতে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ছিলেন জেলার তৃণমূল নেতা কানাইলাল আগরওয়াল। এমনকী কৃষ্ণের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ফুল বদল করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। কানাইলাল আগরওয়ালের আপত্তি সত্ত্বেও তাঁকে দলে নেওয়া হয়৷