নয়াদিল্লি: মেয়ে আগেই বাবার দিকে সবকিছু ঠেলে দিয়েছে। এবার বাবা দাবি করলেন যে মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই ব্যবসা চালাতেন। অর্থাৎ বাবা-মেয়ের বয়ানে বিস্তর ফারাক। ইডির দাবির পর এখন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা যা যা দাবি করছেন তা দিয়ে ধন্দ তৈরি হচ্ছে। তবে ইডি একটা বিষয়ে নিশ্চিত যে, এঁরা দুজনেই গরু পাচার মামলায় জড়িত।
বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রত মণ্ডল, কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চার্জশিটে সুকন্যার বয়ানকেই হাতিয়ার করা হয়েছে৷ ইডির দাবি জেরার মুখে সুকন্যা জানিয়েছেন, তিনি বাবার কথা মতো চেক বইয়ে সই করতেন৷ গরু পাচারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না৷ এদিকে আবার অনুব্রত খোদ ইডিকে বলেছেন, সুকন্যাকে নিয়েই ব্যবসা চালাতেন তিনি। শুধুমাত্র তাঁর স্ত্রী (প্রয়াত) কোনও ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন না। তবে বাবা-মেয়ে মিলে মণীশ কোঠারির পরামর্শ মেনে ব্যবসা সামলাতেন বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”লটারি কেটেই কোটিপতি অনুব্রত-সুকন্যা? ED probing origin of Anubrata-Sukanya huge property” width=”853″>
ইতিমধ্যেই অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি৷ সেই হিসেবেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুব্রত কন্যা সুকন্যার নামে যে সব সম্পত্তি আছে তার খতিয়ানও দিয়েছে ইডি। এদিকে আজ তারা আরও বড় দাবি করে জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করা হত৷ এই পাচারে বিএসএফ-এর সাহায্য নেওয়া হত। অনেক আগে সিবিআই তাদের চার্জশিটে দাবি করেছিল যে, এনামূল হক ও তার সহযোগীরা পাচারে বিএসএফের সাহায্য নিয়েছিল। বর্তমানে ইডিও দাবি করছে, বিএসএফের একাংশের মদতেই বাংলাদেশে পাচার হত গরু। কীভাবে তা করা হত সেই তথ্যও তারা চার্জশিটে উল্লেখ করেছে।