ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত! প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেস সচিব পেতে চলেছে হোয়াইট হাউস

ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত! প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেস সচিব পেতে চলেছে হোয়াইট হাউস

ওয়াশিংটন: আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরেই কার্যত ইতিহাস সৃষ্টি হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ইতিহাস রচনা করেছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এই ঘটনার দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবারও কৃষ্ণাঙ্গ বিপ্লব হোয়াইট হাউসে। জানা যাচ্ছে, হোয়াইট হাউজের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হতে চলেছেন জেন পিয়েরে। আগামী ১৩ মে জেন তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। তাঁকে আগামী প্রেস সচিব হিসেবে নিযুক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বয়ং।

ইতিমধ্যেই জেন পিয়েরে সম্পর্কে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যেখানে তিনি বলেছেন, জেনের অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা এবং সর্বোপরি তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কথা মাথায় রেখে তাঁকে আগামীর প্রেস সচিবের মত গুরুত্ব পদে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন বিদায়ী প্রেস সচিব জেন সাকি। জেন সম্পর্কে এদিন তিনি টুইটারে লেখেন, জেন পিয়েরে একজন অত্যন্ত দূরদর্শী মহিলা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে তাঁর উপযুক্ত সম্মান দিয়েছেন।

 উল্লেখ্য, আমেরিকার রাজনীতিতে বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার টিভির পর্দায় দেখা গিয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ এই মহিলা জেন পিয়েরের মুখ। বারাক ওবামার সময় থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের দায়িত্বভার তিনি সুনিপুণভাবে পালন করে আসছেন। ওবামার পর বাইডেনের প্রচারেও তাঁকে একাধিকবার দেখা যায়। জানা যাচ্ছে জেন হাইতির এক নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা ট্যাক্সি চালক এবং মা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। নিম্নবিত্ত পরিবারের এই সন্তানই পরবর্তীতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী স্নাতক হিসেবে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। কলেজ শেষ করার কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ২০১৯ সালে তাঁর একটি আত্মজীবনীও প্রকাশিত হয়। সেই বইতেই তিনি উল্লেখ করেছেন তাঁর জীবনের এই অক্লান্ত লড়াইয়ের কথা।

 অন্যদিকে জেন পিয়েরে এমন একটা সময় প্রেস সচিবের দায়িত্ব নিচ্ছেন যখন বেশ উত্তাল আমেরিকার রাজনীতি। সেই দেশের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক সংকট এবং সর্বোপরি ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার সংঘাত, সবে মিলে যখন বেশ উত্তপ্ত দেশের রাজনীতি তখনই প্রেস সচিবের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন এই মহিলা। ফলে আগামী দিনে যে তাঁর জন্য বেশকিছু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে সে কথা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 7 =