মস্কো: বুধবার রাশিয়ার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মহড়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছিল। তারপর থেকেই আতঙ্কের পারদ চড়তে শুরু করেছিল। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ আশঙ্কা করতে শুরু করেছিল, রাশিয়া ইউক্রেনের পর ওপর পরমাণু হামলা করতে পারে। তবে রুশ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন অভিযানে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু অস্ত্র দিয়ে হামলার কোনও পরিকল্পনা ক্রেমনিলের নেই।
রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখাপাত্র আলেক্সেই জাইতসেভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান চালিয়েছে। সেই অভিযানে কোনও পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু হামলার কোনও পরিকল্পনা নেই। অভিযানের শুরু থেকেই রাশিয়ার তরফ থেকে বার বার ইউক্রেনে পরমাণু হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাধিকবারে পরোক্ষে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। পরমাণু হামলার আশঙ্কা করেছিলেন আমেরিকা সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। রুশ বিদেশমন্ত্রী সেরগই লাভারোভ সরাসরি পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। রুশ সরকারি টেলিভিশনে তিনি জলের তলা দিয়ে পরমাণু হামলা চালিয়ে ব্রিটেনকে ডলের তলায় ডুবিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
এই হুমকির সঙ্গে সঙ্গে বুধবার পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মাঝে বাল্টিক সাগরে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ থেকে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে রাশিয়া। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছিল। তারমধ্যে এই ব্যালেস্টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নতুন করে আতঙ্কের পারদ বাড়াচ্ছে। এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সেনা নকল মিসাইল সিস্টেম, এয়ারফিল্ড, কম্যান্ড পোস্টকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। তেজস্ক্রিয়তা ও বিষাক্ত রাসায়নিকের হাত থেকে কীভাবে বাঁচা সম্ভব, সেই বিষয়েও রুশ সেনারা মহড়া দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শতাধিক রুশ সেনা এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।