কলকাতা: সোমবার নগর দায়রা আদালতে নিয়োগ কাণ্ডের ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অয়ন শীলের বিরুদ্ধে নতুন চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তাতে আরও বিস্ফোরক কিছু তথ্যের উল্লেখ করেছে তারা। বলা হয়েছে, শান্তনুর ১৪টির বেশি নামে-বেনামে সম্পত্তি রয়েছে। অন্যদিকে প্রায় হাজারজন চাকরিপ্রার্থীর থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন। সব মিলিয়ে নিয়োগ কেলেঙ্কারির শিকড় যে বহুদূর বিস্তৃত তা বলাই বাহুল্য।
ইডির দাবি, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার ৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪৭ লক্ষেরও বেশি টাকা। এছাড়া তাঁর একাধিক সঙ্গীর নামেও সম্পত্তি থাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের যে তালিকা মিলেছিল তাতে রাজ্যের ১৭টি জেলার ৩৪৬ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। এছাড়া ২৬ জন প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১ কোটি ৩৯ লক্ষ পেয়েছিলেন শান্তনু, এমনও দাবি করেছে ইডি। চার্জশিটে এও উল্লেখ করা হয়েছে, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ। তবে পরে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”হাজিরা দিতে এসে কবিগুরুর কবিতাপাঠ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! Partha Chatterjee in different mood” width=”853″>
এদিকে অয়ন শীল সম্পর্কে ইডির দাবি, ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেট-এ চাকরি দেওয়ার নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন অয়ন। সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ৪৫ কোটি। এও দাবি, এই টাকা তোলা হয়েছে অন্তত ১ হাজার জন চাকরিপ্রার্থীদের থেকে। এই ৪৫ কোটির মধ্যে ১৮ কোটি টাকা নিজের ব্যবসার কাজে লাগিয়েছিলেন অয়ন। বাকি টাকার কিছু ভাগ গিয়েছে পার্থ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আর কুন্তল ঘোষের কাছে। একই সঙ্গে কালো টাকা সাদা করতে পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং কর্মচারীদের নথি ব্যবহার করে ৫০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন অয়ন।