কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে৷ সিবিআই জানাচ্ছে, কালো টাকা সাদা করতে চারশোর বেশি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ট এক চালকল মালিক৷ তাঁর নাম রবীন টিবরেওয়াল। সেই সব অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে কোটি কোটি টাকা। এই টাকার বেশিরভাগটাই এসেছিল গরু পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা এনামুল হকের সংস্থা থেকে। পরে সেই টাকা পৌঁছয় কেষ্টর বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ কীভাবে এতগুলি অ্যাকাউন্ট অন্যদের নামে খুললেন রবীন? তা জানতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অফিসারদের সঙ্গে কথা বলছে সিবিআই৷
এদিকে গরু- কয়লা পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলার পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা। তদন্তকারী অফিসার এবং নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরপিএফ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। এই সব মামলাগুলিতে বড়সড় অভিযানের জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। গরু পাচারের তদন্তে নেমে কেষ্ট-ঘনিষ্ট একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। কালো টাকা সাদা করতে তাঁদের অ্যাকাউন্ট কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই নথিও খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, কেষ্ট ঘনিষ্টদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়। ওই চালকল মালিকের সঙ্গে হক ইন্ড্রাস্টিজের বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন চলেছে৷ এই তথ্য নজর এড়ায়নি অফিসারদের। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লেনদেনের অঙ্কটা ছিল ৫০ কোটির উপরে। ইতিমধ্যেই রবীনকে দু’বার নিজাম প্যালেসে তলব করে জেরা করেছেন আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁর বয়ানে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তাঁরা৷
তবে ইডি-র হাতে অন্যতম অস্ত্র অনুব্রতর একদা ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনের বয়ান৷ কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষীর সঙ্গে এনামুল হকের কথোপকথনের একাধিক নথি পেয়েছে কোন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা৷ এছাড়া সায়গল তদন্তকারী অফিসারদের জানান, পাচারের টাকা এনামূলের কাছ থেকে নানাভাবে সংগ্রহ করা হত। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভুয়ো নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা জমা করা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>