কলকাতা: নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়নের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক বদল আনার চেষ্টা চলছে। এই বিষয়ের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। সভায় উপস্থিত ছিলেন অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কলকাতা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং জেলার শিক্ষক, অধ্যাপক ও এলাকার মানুষ।
সংগঠনের দাবি, স্কুল স্তরে ইতিহাসের সিলেবাস থেকে ‘মুঘল যুগ’ ও ‘ডারউইন তত্ত্ব’ বাদ দেওয়া, চার বছরের মালটি ডিসিপ্লিনারি ডিগ্রি কোর্সের প্রবর্তন মেনে নেওয়া যায় না। কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই পরিবর্তন সামগ্রিক ভাবে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ, যুক্তিবাদী চিন্তা জগতে এক আঘাত স্বরূপ। সেই সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রাসী বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা। এই নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামের মাধ্যমে এর বদল করতে হবে। তাই জন্য তিনি সকলে শিক্ষা সচেতন মানুষকে এক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। এদিন দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন হয়েছিল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ নিয়ে বড় আপডেট! ‘প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার আশঙ্কা! কতটা প্রভাব পড়বে রাজ্যে?” width=”853″>
যদিও জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক স্তরের ‘কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’ কার্যকর করতে রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার উচ্চশিক্ষা দফতরের সহ-সচিবের স্বাক্ষরিত এই নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য গত ৩১ জানুয়ারি ইউজিসি-র পক্ষ থেকে সব রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দেওয়া হয়৷ তার পরেই এই নির্দেশ।