কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজের মোবাইল বাড়ির পিছনে পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন। সিবিআই তল্লাশি শুরুর পরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। সেই মোবাইল খুঁজতে কালঘাম ছোটে কেন্দ্রীয় এজেন্সির। কিন্তু এখন আদালতে ঠিক উল্টো দাবিই করলেন তাঁর আইনজীবী। বললেন, বিধায়ক পুকুরে মোবাইল ফেলেননি। তাঁর নামে মিথ্যে অভিযোগ করার দাবি করেছেন জীবনকৃষ্ণর আইনজীবী। কী বক্তব্য তাঁর?
জেল হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার জীবনকৃষ্ণ সাহাকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সেই শুনানিতেই মোবাইল ফোনের প্রসঙ্গ উঠতেই তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি পুকুরে মোবাইল ফেলেননি। বরং মোবাইল ফোনটি আগেই বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। তল্লাশি শুরুর মুহূর্তেই তা করা হয়েছিল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এক্ষেত্রে কিছু যুক্তিও দিয়েছেন বিধায়কের আইনজীবী।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”#shorts : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একাধিক অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত দিলীপ ঘোষ! নেপথ্যের কারণ ঘিরে জল্পনা…” width=”853″>
আদালতে তাঁর বক্তব্য, যদি মোবাইল ছুঁড়ে ফেলে দেন বিধায়ক সেক্ষেত্রে সিবিআই কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আবার বিধায়ক মোবাইল যে পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন, তার কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেনি সিবিআই। তাই তাঁর স্পষ্ট দাবি, বিধায়ককে কালিমালিপ্ত করতে এমন দাবি করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে মনে রাখা দরকার, আগেই মোবাইল পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন খোদ বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। তাঁর কথায়, মেয়ের সঙ্গে ফোনালাপের সময় কথা কাটাকাটি হওয়ায় তা করেছিলেন তিনি।