নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় ফের বাড়ল অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও তাঁদের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির জেল হেফাজতের মেয়াদ৷ আদালতের নির্দেশে আরও দু’মাস জেলেই থাকতে হবে কেষ্ট-কন্যাকে৷ আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত সুকন্যাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। সুকন্যার জামিনের আবেদনের মামলায় আগামী ২৬ মে শুনানি হতে পারে। এদিকে, অনুব্রত মণ্ডল ও এই মামলায় ধৃত বাকিদের জেল হেফাজতের মেয়াদ ১২ জুলাই পর্যন্ত আগেই বাড়িয়েছে আদালত।
গরুপাচার মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার সুকন্যার বর্তমান ঠিকান তিহাড় জেল৷ একই জেলে রয়েছেন তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডল। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য আদালতের নির্দেশ মেনে জেল কর্তৃপক্ষের কাছ আবেদন জানিয়েছিলেন কেষ্ট৷ সেই আবেদন মঞ্জুরও করা হয়৷ এর পর জেল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে দেখা হয় বাবা-মেয়ের৷ এর পর সুকন্যার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন অনুব্রত৷ বলেছিলেন, “ঈশ্বর যেন মেয়েটাকে জামিন দিয়ে দেয়।”
গ্রেফতার হওয়ার পর ইডি হেফাজতে ছিলেন সুকন্যা। এই বিষয়ে তাঁর থেকে বিশদে জানতে সুকন্যাকে আরও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি। সেই কারণেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে না চাইলেও, জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, গরুপাচার মামলায় হালেই চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। সেখানে অনুব্রত ছাড়াও নাম রয়েছে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, দেহরক্ষা সায়গল হোসেন ও মেয়ে সুকন্যার। গরু পাচার মামলায় আর্থিক তছরূপে অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে৷ এদিকে,শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন সুকন্যা। সেই আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৬ মে।
সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়েছিল অনুব্রতকে। সেই সময় আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমার। নিজের আইনজীবী মারফত সুকন্যার আইনজীবীকে ডেকে পাঠানোর আবেদন করেন কেষ্ট। কাতর কণ্ঠে তিনি অনুরোধ করেন, “মেয়েকে বাঁচান। যা প্রয়োজন করুন।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>