কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার নবান্ন হওয়া রিভিউ মিটিংয়ে বড় প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারিতে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যেমন ডিপ্লোমা কোর্স হয়, ডাক্তারিতেও সেই রকম ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যায় কিনা, তাই দেখতে পরামর্শ তাঁর। এই বিষয় নিয়ে আপাতত ব্যাপক সমালোচনা হলেও প্রস্তাবটির বাস্তবায়ন হয় কিনা তা জানতে বিশেষ কমিটি গঠন করল রাজ্য।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই আছে। সেই প্রেক্ষিতে তাঁর নির্দেশ পালন করতে ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই বিশেষ কমিটি। তারা খতিয়ে দেখবে যে ৩ বছরে চিকিৎসক ‘বানানো’ সম্ভব কিনা। স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, ৩ বছরের মেডিক্যালের কোর্স শুরু করা যেতে পারে কিনা তা দেখতেই এই কমিটি গঠন হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে এই কমিটি। উল্লেখ্য, চিকিৎসক হওয়ার জন্য এ দেশে ন্যূনতম ৫ বছরের প্রশিক্ষণ দরকার হয়। তারপরই মেলে এমবিবিএস ডিগ্রি। তবে এই প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী চান ৩ বছরের মধ্যে সবরকম প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘চিকিৎসক’ তৈরি করতে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত নবান্ন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী! CM Mamata speaks on cyclone situation” width=”853″>
মমতার এই প্রস্তাব অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কিছু ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেবেন। সেই প্রেক্ষিতে স্যালাইন, অক্সিজেন দেওয়া, ওষুধ দেওয়া সংক্রান্ত কাজকর্মের ক্ষেত্রে বেশি দিনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। অল্প কিছু বছরের মধ্যেই তারা এই কাজে সক্ষম হবে। পরবর্তী সময়ে তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো যেতে পারে। তবে চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশই এই ব্যাপারে সহমত পোষণ করতে পারছে না। তাদের মতে, ডাক্তারি জিনিসটা অন্য সব কিছুর থেকেই আলাদা। তা রাতারাতি বা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে শেখা বা রপ্ত করা সম্ভব নয়।