বজবজ, এগরার পর এবার বনগাঁ… ফের বিস্ফোরণ রাজ্যে। এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ক্ষত এখনও দগদগে, এরই মধ্যে রাজ্যে আরও এক বিস্ফোরণের ঘটনা। বনগাঁয় দুষ্কৃতীদের লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে মৃত্যু হল নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর বক্সীপল্লীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। সোমবার সকালে রাস্তার পাশের শৌচালয়ে শৌচকর্ম সারতে গিয়ে প্রাণ হারায় ১১ বছরের রাজু রায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। শৌচালয়ের মধ্যে লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান। কিন্তু, কে বা কারা বোমা শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখল? তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করত রাজু। সোমবার সকালে রাস্তার পাশে শৌচালয়ে প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছিল। আচমকাই বিকট শব্দ শুনতে পান সকলে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন পৌঁছতেই দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই নাবালক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যত দিন যাচ্ছে এলাকায় সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বাড়ছে ক্রমশ। প্রশাসন সব কিছু দেখেও যেন দেখে না! আজ প্রাণ দিয়ে তারই খেসারত দিল রাজু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাস্তার পাশে ওই শৌচালয় মূলত ঠাকুরনগরে আসা ভক্তদের জন্য হলেও স্থানীয় অনেক পরিবার তা নিয়মিত ব্যবহার করে। এদিন সকালে কাজে যাওয়ার আগে অন্যান্য দিনের মতই শৌচালয়ে গিয়েছিল রাজু। কিন্তু, শৌচালয়ের ভিতর লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে মৃত্যু হয় তার। বোমার আঘাতে ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে শৌচালয়। চারিদিকে চাপ চাপ রক্ত। বিস্ফোরণের পরপর শৌচাগারের দরজা খুলে বাইরে বেরিয়েও আসে নাবালক। কিন্তু, আহত শরীরে বেশিদূর যেতে পারেনি। তার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে… কে বা কারা রাখল বোমা? বুঝে উঠতে পারছে না কেউ। বিস্ফোরণের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে বনগাঁ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।