‘স্ত্রী, সন্তানদের গ্রেফতারিতেও মাথা নত করব না, ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করুন’, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

‘স্ত্রী, সন্তানদের গ্রেফতারিতেও মাথা নত করব না, ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করুন’, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

কলকাতা: প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিমানবন্দরে বিদেশ যাত্রায় বাধা, তারপরেই ইডি’র তলব৷ জোড়া ধাক্কায় ফুঁসে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সোমবার রাতে সুর চড়ান অভিষেক৷ সাফ জানান, ধমকে-;মকে মাথা নত করা যাবে না তাঁর। অভিষেক বলেন, “আমার স্ত্রী কেন, বাচ্চাদের গ্রেফতার করলেও আমি মাথা নত করব না।” অভিষেকের অভিযোগ, তাঁকে হেনস্থা করতেই রুজিরাকে আটকানো হয়েছে৷ ক্ষমতা থাকলে গ্রেফতার করে দেখান প্রধানমন্ত্রী, চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তৃণমূল সাংসদ৷ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অমিত শাহকেও। বিরোধী নেতাকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সব থেকে বড় সুবিধাভোগী শুভেন্দু অধিকারী।

সোমবার বিমানবন্দরে রুজিরাকে বাধা দেওয়ার পর ৮ জুন তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিনের কর্মসূচীর শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ইডিকে আগেই জানানো হয়েছিল। চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, ৫ তারিখ দুবাই যাবে,  ১৩ তারিখ ফিরবে। ইডির আপত্তি থাকলে তখনই জানাতে পারতেন। আমার সঙ্গে না পেরে স্ত্রী, সন্তানদের টার্গেট করা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে আমাকে দমানো যাবে না। স্ত্রী, সন্তানদের গ্রেফতার করা হলেও মাথা নত করব না।”  

তাঁর কথায়, “রুজিরাকে নোটিস পাঠাতে হলে সেদিনই পাঠাতে পারত। কিন্তু ইডি সেটা করেনি। হেনস্তা করবে বলেই অপেক্ষা করছিল। রুজিরা তো বটেই, আমার তিন বছরের ছেলে আর ন’বছরের মেয়েও পার পেল না।”

তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড আরও বলেন, ‘‘যে ঘটনা আজ ঘটেছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, বর্তমান সরকার দেশের আইন মানে না।  আমাকে আর আমার স্ত্রীকে বিদেশযাত্রায় অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৭ অক্টোবর জানিয়েছিল, আমাদের বিদেশ যাত্রায় বাধা নেই। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে না।” 

প্রসঙ্গত গত তিন বছর ধরে কয়লা-গরু মামলা নিয়ে ধরপাকড়, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে অনেক নাটক দেখেছি। ক্ষমতা থাকলে আমায় গ্রেফতার করুন।’