কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার হওয়ার পরেই কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। শনিবারই নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। তিনি আবার ইতিমধ্যেই ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন। এদিকে এই ইস্যুতে রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনারের হাতেই রক্ত লেগে আছে।
মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক কংগ্রেস কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, ”সকাল বলে দেয় দিন কেমন যাবে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই রাজ্যে চলল গুলি এবং কংগ্রেস কর্মী খুন। পঞ্চায়েত ভোটের প্রথম হত্যা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার হাতেই এর রক্ত লেগে আছে। এটা সবে শুরু। বাংলার মানুষ অপেক্ষা করো আরও রক্তপাত দেখার জন্য।” প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ একাধিক দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকারই। আর আপাতত জানা গিয়েছে, অন্য রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী সহ রাজ্যের পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে উদ্যোগী নবান্ন।
ভোট ঘোষণা হতেই অবশ্য রাজ্য এবং কমিশনকে তুলোধনা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই প্রথম রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার আগে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়নি। এদিকে একদিনে ভোট করানোর জন্য যে নিরাপত্তা প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে কোনও ব্যাখ্যাই দেওয়া হয়নি। নির্বাচনে কোনও প্রকার হিংসা হলে এবং কেউ মারা গেলে তার জন্য দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।