বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই অশান্তির আগুনে পুড়তে শুরু করেছে রাজ্য৷ মনোনয়নের দ্বিতীয় দিনেও দফায় দফায় অশান্তি৷ বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থীরা বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার হয় বলে অভিযোগ৷ কাঠগড়ায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হয় পাত্রসায়রেও৷ সেই অভিযোগ তুলেই শনিবার দুপুরে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাঁকরডাঙ্গা মোড়ে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যদিও তাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল৷
শনিবার দুপুরে স্থানীয় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে বিষ্ণুপুর বিডিও অফিসে গেলে তাদের বাধা দেয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা৷ বিজেপির দাবি, শাসকদলের লোকজন বিজেপি প্রার্থীদের মারধর করে বিডিও অফিস থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এর পরেই বিষ্ণুপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে মহকুমাশাসকের দফতরে যান বিজেপি কর্মীরা। সেখানে বিক্ষোভও দেখান তারা৷
মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে পাত্রসায়রও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়ন কেন্দ্র দখল করে রাখার অভিযোগ এনেছে বিজেপি। গেরুয়া প্রার্থীরা সৌমিত্র খাঁয়ের নেতৃত্বে বিডিও অফিসে মনোনয়ন তুলতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদে দলীয় প্রার্থী এবং কর্মীদের নিয়ে পাত্রসায়র ব্লকের কাঁকরডাঙ্গা মোড়ে রাস্তার উপর অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন সাংসদ। পাত্রসায়রে বোমাবাজিরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সৌমিত্র বলেন, ‘‘এই ভাবে মনোনয়ন এবং নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তৃণমূল নেতা সুব্রত দত্তর নেতৃত্বে বোমাবাজি করা হচ্ছে৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ। বাংলা সন্ত্রাসবাদের জায়গা৷ অবিলম্বে আদালত অনলাইনে মনোনয়নের অনুমতি দিক। না হলে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>