কলকাতা: মৌসম ভবনের ইঙ্গিত ছিলই। সেই মতোই চলতি বছর মূল ভূখণ্ডে কিছুটা দেরিতেই ঢুকল বর্ষা। আর দেরিতে আসা মানেই বৃষ্টি কম। এমনটাই ধারণা করা হয়। তবে সব সময় সেই যুক্তি খাটে না। তবে এই বছর বর্ষায় বৃষ্টির পরিমাণ নিয়ে অনিশ্চয়তা কিন্তু রয়েছে৷ বৃষ্টি কম হলে খরিফ শস্যের উপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু কেন এই আশঙ্কা?
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বেশ কয়েক বছর পর ফের ফের প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তেমনটাই জানিয়েছে আমেরিকার আবহাওয়া সংস্থা ‘এনওএএ’। এর তীব্রতা আগামী দিনে আরও বাড়বে৷ প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য ও পূর্ব উপকূলের জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে এল নিনো পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর গতি প্রকৃতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে, বৃষ্টি কম হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
যদিও কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর এবারও দেশে স্বাভাবিক বর্ষারঅ পূর্বাভাস দিয়েছে। কিন্তু, ওই পূর্বাভাসের মধ্যেও কিছুটা আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। দীর্ঘকালীন গড়ের সঙ্গে তুলনা করে ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে তাকে স্বাভাবিক বলা হয়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এবার দেশে বৃষ্টিপাত হবে ৯৬ শতাংশ৷ স্বাভাবিকের একেবারে প্রান্তসীমায় বৃষ্টির পরিমাণে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যা বৃষ্টির পরিমাণ নিয়ে উদ্বেগে রাখছে৷