অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘বিপর্যয়’। পূর্ব ও মধ্য আরব সাগরের উপর রীতিমত ফুঁসছে এই সাইক্লোন। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। সৌরাষ্ট্র এবং গুজরাটের কচ্ছ উপকূলে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে গুজরাট প্রশাসন।
IMD-র তথ্য বলছে, বর্তমানে গুজরাটের পোরবন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ । দ্বারকা থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিম এবং নালিয়া থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। যা আগামী ১৫ জুন অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার পাকিস্তান এবং গুজরাটের মধ্যবর্তী মান্ডবি এলাকায় আছড়ে পড়বে। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই বিপর্যয় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ল্যান্ডফলের সময় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই আছড়ে পড়বে এই সাইক্লোন। সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে।
করাচি উপকূলে ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা রয়েছে এই অতি তীব্র সাইক্লোনের। একইসঙ্গে এর প্রভাব পড়বে গুজরাট লাগোয়া মান্ডবিতেও। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে গুজরাট, কর্নাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রে প্রবল ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। আগামী পাঁচদিন পর্যন্ত পূর্ব মধ্য আরব সাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য আরব সাগরে মৎস্যজীবীদের যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তাল হয়ে উঠেছে আরব সাগর।
আরব সাগর তীরবর্তী ভালসাদ এলাকায় তিথাল সমুদ্র সৈকতে বিশালাকার ঢেউ দেখা যাচ্ছে। সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত এই বিচে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কেরালার তিরুঅনন্তপুরম, কোল্লাম, পাথানামঠিট্টা, আলাপ্পুঝা, কোট্টায়াম, ইদ্দুকি এবং কোঝিকোড়ে এবং কন্নুরে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কেরালার পাশাপাশি কর্নাটক এবং লাক্ষাদ্বীপেও এই সাইক্লোন বিপর্যয় নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
বিপর্যয়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে গুজরাটের কচ্ছ এবং পাকিস্তানে। পাকিস্তানের সিন্ধ, বালচিস্তান-সহ একাধিক এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় তাউটের পর এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে আরব সাগরের ইতিহাসে