অনুব্রতর গরে একে একে দল ছাড়লেন হাজার তৃণমূল কর্মী

অনুব্রতর গরে একে একে দল ছাড়লেন হাজার তৃণমূল কর্মী

সে এক সময় ছিল, যখন তাঁর হুঙ্কারে সজাগ থাকতেন বীরভূমবাসী। সেই বাঘ এখন তিহার জেলে বন্দি।সেই সুযোগেই হয়ত রাতারাতি তৃণমূলের অফিস পরিণত হল কংগ্রেসে। শুধু তাই নয়, কয়েক ঘণ্টা আগে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন তাঁরাই কংগ্রেসে যোগ দিয়ে পার্টি অফিসের নক্সা বদলে দিচ্ছেন। মুছে ফেলা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো। নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে পতাকা। বোর্ডে লেখা তৃণমূল কংগ্রেসের তৃণমূলকে মুছে দেওয়া হচ্ছে অবলিলায়। এই ছবি অনুব্রতর জেলা বীরভূমের। ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের জিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এখন আর তৃণমূল কংগ্রেসের নয়। রাতারাতি এই গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজার তৃণমূল কর্মী যোগ দিয়েছেন জাতীয় কংগ্রেসে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি সানোয়ার শেখের দল ছাড়ার পরই লাইন দিয়ে বাকি কর্মীরাও তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও চোখের জলেই দল ছাড়লেন সানোয়ার শেখ। দল ছাড়ার পরই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। তৃণমূলের জন্ম থেকে তৃণমূল করা সানোয়ার শেখ দলের উপর বিরক্ত হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানান। সানোয়ারকে সমর্থন করেই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কারণ হিসেবে দুর্নীতিকেই সামনে রাখলেন সদ্য দল ছাড়া তৃণমূকর্মীরা। 

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। জেতার তালিকায় এগিয়ে ছিল অনুব্রতর জেলা বীরভূম। সেই বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটেরর আগে এই দৃশ্য যেন ছন্দপতনের মতোই। বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি গোটা ঘটনায় হতবাক। জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়ে পার্টি অফিসে পুরো দখল করলেন দলছাড়া তৃণমূল কমংগ্রেস কর্মীরা। যাঁরা ১৯৯৮ সালের রাজনীতির পথ ধরেই কংগ্রেসে যোগ দিলেন। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে যা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বেশ অস্বস্তিকর। জোড়াফুলের প্রতীক মুছে আঁকা হল হাতের ছবি। বীরভূম জেলা রাজনীতিতে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াল এই ঘটনা। বিষয়টিকে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।রাতারাতি এই সিদ্ধান্তের ফলে বীরভূমে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পারদ অনেক ধাপ বেড়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রবিবারই ময়ুরাক্ষী ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েতেৎ এই ঘটনায় বেশ চাপে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে অভিষেকের জেল সংযোগ যাত্রা ঘিরেও। তাহলে কি সেতু গঠনে ফাঁক থেকে যাচ্ছে? 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 12 =