নয়াদিল্লি: রাজ্যের ভোটে কি এবার কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দেখবে বাংলার মানুষ? এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর প্রধান কারণ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথ বা কেন্দ্র চিহ্নিত করতে চাইছে তারা আর সে কারণেই সংস্থার ডিজিকে নিয়োগ করতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ‘হিংসার’ সমীক্ষা করবেন এই পর্যবেক্ষক। সেই ভিত্তিতে মানবাধিকার কমিশন নোটিস দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। এরপর অমিত শাহের মন্ত্রক রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে। সূত্রের খবর, এই নির্দেশ আসার দু’সপ্তাহের মধ্যে নবান্নকেও ‘অ্যাকশন’ নিয়ে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। যদিও এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা স্পষ্ট করেছেন, যে এমন কোনও নির্দেশ তিনি মানবেন না। ভোট পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব যেখানে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের, সেখানে এইভাবে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ তারা মানছেন না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে রাজ্য নেতাতেই ভরসা রাখছে কেন্দ্রীও বিজেপি। Panchayat Election 2023″ width=”789″>
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি মোতায়েন করা হয় তাহলে তারা রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোট নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারবে। যদিও সকালের শুনানিতেই পঞ্চায়েত ভোট পিছনোর বিরোধিতা করেন রাজ্যের কৌঁসুলী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পঞ্চায়েত মামলার শুনানিতে বিচারপতি একটা বিষয় স্পষ্ট করেছেন যে, আদালত কোনও রাজনৈতিক দল নিয়ে চিন্তিত নন। বরং তাদের চিন্তা ভোটারদের নিয়ে।