কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার্শ্ব শিক্ষকরা অংশ নিতে পারলে শিক্ষাবন্ধুরা পাবেন না কেন? এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। অবশেষে আদালত জানিয়েছে, তারা পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নিতে পারবেন। এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনও জানিয়ে দিয়েছে, এই ইস্যুতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। আসলে আদালতে যে মামলা করা হয়েছিল তাতে মামলাকারীর দাবি ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে শিক্ষাবন্ধুরা ভোটে লড়তে পারবেন না। এই নিয়েই ছিল মূল আপত্তি।
এদিন মামলার শুনানিতে অবশ্য রাজ্যের এক শিক্ষাবন্ধুকে নির্বাচনে না লড়ে শিক্ষকতা করতেই পরামর্শ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলাকারীর উদ্দেশে স্পষ্ট বলেন, শিক্ষকতার মতো মহান কাজ আর নেই। তাই শিক্ষাকতাই করুন। যদিও আইনি অধিকারের কথা তুলে ওই শিক্ষাবন্ধু এই মামলা করেছিলেন। তবে মামলার শুনানির শেষে শিক্ষাবন্ধুদের পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত। নির্বাচন কমিশনও এই ব্যাপারে তাদের তরফ থেকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছে। তাই সমস্যার আর কোনও স্থান নেই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Election Commissioner in the state । বাংলা কি আজও মীরা পাণ্ডের শূন্যতা অনুভব করছে?” width=”853″>
বিষয় হল, গত ২৭ মে বেশ কিছু পেশার মানুষকে পঞ্চায়েত ভোটে না দাঁড়ানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকায় হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার্স, রেশন ডিলারদের সঙ্গে শিক্ষাবন্ধুর নামও ছিল। তবে পরে ৩১ মে আবারও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে ২০০৩ সালের আইনের উল্লেখ করে পার্শ্বশিক্ষকদের ভোটে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। এরপরেই দেখা দেয় আপত্তি।