কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার পর অনেকটাই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দলগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনোনয়ন জমা করলেও শাসক তা করতে পারেনি। কিন্তু মনোনয়ন জমার শেষ দু’দিনে কার্যত ঝড় তুলেছিল তারা। শেষ পর্যন্ত মোট আসনের চেয়ে অনেক বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কী করে সম্ভব হল এমনটা? এই প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠে গিয়েছে এবং বিরোধীরা এখানে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে। যদিও তৃণমূল এর পিছনে যুক্তি দিয়েছে।
তথ্য বলছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মোট আসনের চেয়ে প্রায় ১২ হাজার বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে শাসক দল। সরকারি ভাবে শেষ দু’দিনে তাদের মনোনয়ন জমা পড়েছে ৭৪ হাজারের বেশি। এত কম সময়ে এতগুলি মনোনয়ন কী ভাবে জমা দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিরোধী পক্ষ। তারা যে এর পিছনে বড় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যা এখনও দিতে পারেনি। যদিও তৃণমূলের যুক্তি, নিজেদের সাংগঠনিক দক্ষতার জেরে এই কাজ করতে পেরেছে তারা, যে ক্ষমতা বিরোধীদের নেই। তাই তারা রহস্য, চক্রান্তের কথা বলছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”হাইকোর্টের নির্দেশ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? মনোনয়ন পেশে থানাকে সাহায্য! | bengal panchayat election 2023″ width=”789″>
কিন্তু যতই হোক, যে সময়ের মধ্যে এই বিপুল মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। হিসেব করলে দেখা যাবে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার যে সময় বরাদ্দ ছিল তাতে শাসক দল শেষ দু’দিনের ৮ ঘণ্টার হিসেবে ধরলে ঘণ্টা পিছু ৯ হাজারের বেশি মনোনয়ন জমা করেছে। বাস্তবে কি এই গতি সম্ভব? উত্তর আপাতত মিলছে না। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে রাজ্যে মোট ৭৩ হাজার ৮৮৭ আসনে ভোট হওয়ার কথা। আর তৃণমূলের প্রার্থী হতে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৮৫ হাজার ৮১৭টি। অন্যদিকে বিজেপির মনোনয়ন জমা পড়েছে ৫৬ হাজার ৩২১টি। সিপিএম ৪৮ হাজার ৬৪৬ মনোনয়ন জমা করেছে এবং কংগ্রেস জমা দিয়েছে ১৭ হাজার ৭৫০টি মনোনয়ন।