কলকাতা: রাজ্য রাজনীতিতে বরাবরই চর্চার কেন্দ্রে থেকেছে নন্দীগ্রাম৷ বাম আমলে জমি আন্দোলন থেকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই, শিরোনাম কেড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এই অঞ্চল। বিধানসভায় ১৯৫৬ ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পঞ্চায়েত ভোটে সেই নন্দীগ্রামেই ধাক্কা খেলেন বিরোধী দলনেতা৷
শুভেন্দুর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের একাধিক আসনে প্রার্থী দিতে পারল না বিজেপি। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ১০ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৮৫ টি আসনের মধ্যে ৬৬টিতে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে প্রার্থী নেই পদ্ম শিবিরের। ‘না’ থাকার তালিকা আরও দীর্ঘ৷ নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কেন্দেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপির। একই ভাবে কালিচরণপুরে ১৭ টি আসনের মধ্যে ৭টি আসন পদ্মহীন। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩টি আসনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল। দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টির মধ্যে ৮টি, সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টির মধ্যে ৮টি, মহম্মদপুরে ১৭টির মধ্যে ৯টি, নন্দীগ্রামে ১৭টির মধ্যে ১১টি এবং ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ টির মধ্যে ২৩ টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে গেরুয়া শিবির৷
অথচ পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন শুভেন্দু৷ নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টিই বিজেপি দখল করবে বলেও সুর চড়িয়েছিলেন৷ কিন্তু দেখা গেল, সব আসনে প্রার্থীই দিতে পারল না বিজেপি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>