কলকাতা: কিছুদিন আগেই ত্রিপুরার পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। সূত্রের খবর, তিনি তাতে রাজি হয়েছেন। তাই গত বিধানসভা ভোটের আগের সময়ের মতো থেকে আবার তাঁর রাজনীতি (পড়ুন বিজেপি) যোগ দিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার চর্চা আরও গভীরে পৌঁছেছে। কারণ সরাসরি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ‘মহারাজ’। বিষয়টি তাহলে কোন দিকে যাচ্ছে?
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে ঠিক কী কথা বলতে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এদিন রাজভবন গেলেন তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ ছিল না। তবে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই সৌরভ এদিন রাজভবনে যান। আসলে রাজ্যপালের এক বন্ধু রয়েছেন, যিনি আবার সৌরভেরও বন্ধু। সেই বন্ধুর সঙ্গেই আজ সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ব্যাপারটি সৌজন্য ছাড়া কিছুই নয়। খোদ রাজ্যপাল কিংবা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতির তরফে অবশ্য এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, আজ ইস্কনের রথযাত্রার উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পত্নী নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পুরীতে জলে নামলেই গায়ে তীব্র চুলকানি-লাল দাগ, পুরীতে গিয়ে বিপাকে পর্যটকরা!” width=”789″>
একটা বিষয় স্পষ্ট, শেষ কয়েক মাস ধরেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনীতি শব্দের যোগ লেগেই আছে। ত্রিপুরা রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে চলেছেন তিনি এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরে আরও আকচাআকচি শুরু হয় তাঁকে কেন্দ্র করে। তবে সেই সময়ে নিজেই মুখ খুলে সৌরভ জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে প্রস্তাব এসেছিল, তিনি সেটা নিয়ে ভেবে দেখেছেন। কেন বারবার তাঁকেই নিশানা করা হচ্ছে? কেন তাঁর সঙ্গেই রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন সচিন তেন্ডুলকর কেরলে রয়েছেন। শাহরুখ খান কলকাতার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। তেমনই গুজরাটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। আবার মহেন্দ্র সিং ধোনি যুক্ত ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে।