ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চিনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রাণভয়ে পাকিস্তান ছেড়ে পালাচ্ছেন তাঁরা। রবিবারই পাকিস্তান ছেড়ে নিজের দেশে চলে গিয়েছেন চিনের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। গত মাসে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্ফোরণ হয়। তারপরেই চিনা শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাকিস্তান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চিনা ভাষা শেখানো হয়। পাক পড়ুয়াদের চিনা ভাষা শেখায় যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। চিনের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা পাকিস্তানে পড়াতে আসতেন। এই বিষয়ে এতদিন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু গত ২৬ এপ্রিল করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। তদন্তে জানা যায়, চিনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই বিস্ফোরণে চিনের তিন জননাগরিক নিহত হন। তারপরেই পাকিস্তানে চিনা নাগরিরকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন।
তারপরেই চিনা শিক্ষক-শিক্ষিকা পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা তবে নিজেদের পেশা থেকে পিছু হটতে নারাজ। তাঁরা ঠিক করেছেন, চিন থেকেই অনলাইনে পড়াবেন। এনইডি ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিরেক্টর ড. নাসিরুদ্দিন খান জানিয়েছেন, ঘটনাটি একেবারে সত্যি। প্রাণ বাঁচাতেই চিনা শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে ১১ জন চিনা শিক্ষক-শিক্ষিকা পাকিস্তান ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পাক নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁদের জিন্না আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ছেড়ে দিয়েছেন। বাকি যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, তাঁরাও চিনে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এই প্রসঙ্গে ড. নাসিরুদ্দিন খান জানিয়েছেন, চিনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেশে ফিরে গেলেও পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চিনা শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনলাইনে পড়াবেন। এছাড়াও পাকিস্তানে যেসব শিক্ষক শিক্ষিকা চিনা ভাষা জানেন, তাঁদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তাঁরা যাতে পড়ান, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। তবে বর্তমানে পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা হলে ভার্চুয়ালি চিনের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।