কলকাতা: মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি ডিগবাজি খাওয়া নেতা হয়তো তিনিই। কখনও কংগ্রেস, কখনও তৃণমূলে, কখনও আবার বিজেপি! সব চেখে তিনি ফের ফিরেছেন তৃণমূলে। রাজনীতির ময়দানে শুধু পাল্টি খাওয়াই নয়, তিন যে কাকে কখন কী বলে দেবেন কেউ আন্দাজও করতে পারেন না। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি মাতৃসমা বলে গদগদ হচ্ছেন, পরক্ষণে তাঁকেই আবার ‘হিটলার’ বলে তোপ দাগছেন৷ কিন্তু এবার যেন মাত্রা ছাড়ালেন হুমায়ুন কবীর! তৃণমূলে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র বলে আক্রমণ শানালেন তিনি৷ দলীয় নেতার এহেন আক্রমণে ক্ষিপ্ত খোদ জোড়াফুলের নেতারাই৷ হুমায়ুনকে বহিষ্কারের দাবি উঠল দলের অন্দরে।
বুধবার তৃণমূলের এক রাজ্য নেতা বলেন, অভিষেকের উচিত ওকে এখনই দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া। অনেকে আবার মনে করছেন, তৃণমূল ছেড়ে ফের হয়তো অধীর চৌধুরীর দুয়ারে হত্যে দেবেন হুমায়ুন কবীর।
মুর্শিদাবাদের হুমায়ুন কবীর বিভিন্ন দল ঘুরে একুশের ভোটে তৃণমূলের টিকিটে ভরতপুর থেকে জিতে বিধায়ক হন। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের সঙ্গে তাঁর সংঘাত চরমে উঠেছে। ভোট পর্বের মধ্যে তা তীব্র রূপ নিয়েছে৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন বিধায়ক। এই সময়ের মধ্যে শাওনিকে সরিয়ে নিয়ামত হাজিকে জেলা সভাপতি করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন হুমায়ুন। সেইসঙ্গে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিডকে সরিয়ে অশোক দাসকে আনার দাবিও তুলেছেন তিনি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>