কলকাতা: ২০১৩ সালের থেকে বেশি কোম্পানি নিয়ে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে এমন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৩ সালে ৫ দফায় হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোট এবং বাহিনী এসেছিল ৮৩৫ কোম্পানি। এবার রাজ্যে আপাতত ২২ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর আর্জি জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হিসেব অনুযায়ী, জেলাপিছু মাত্র ১ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে তারা।
এদিন বিচারপতি বলেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনে ১ লক্ষের বেশি রাজ্য পুলিশ এবং ৮০ হাজারের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তখন মাত্র ১৭টি জেলা ছিল আর এখন ২২টি জেলা। ফলে বাহিনীর সংখ্যায় আরও বেশি করতে হবে। একই সঙ্গে নির্দেশ, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সব জেলায় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আরও বলা হয়, যে পরিমান বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন তা পর্যাপ্ত নয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নির্দেশ কার্যকর করতে চাইছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতির কড়া মন্তব্য, চাপ সামলাতে না পারলে পদত্যাগ করুন। আসলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেছিলেন যে, তারা জেনেছেন ভিন রাজ্যের পুলিশ ও মাত্র ১ হাজার ৭০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ২২ টি জেলার জন্য। যা মোটেই যথেষ্ট নয়।
এদিকে ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে বাংলায় ৬ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৮ কোম্পানি বিএসএফ, ৪ কোম্পানি সীমা সুরক্ষা বল এবং ৪ কোম্পানি আইটিবিপির জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১টি কোম্পানিতে ১০০ জন জওয়ান ও আধিকারিক থাকেন। তার মধ্যে ৮০ জনকে বুথে বুথে মোতায়েন করা যায়। বাকিরা জওয়ানদের রসদ ও খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এমতাবস্থায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেও ছিল যে, মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কী ভাবে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতের রায় নিয়ে প্রহসন করছে৷ কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে দিল আদালত।