৮ জুলাই গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গ্রাম বাংলার ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক স্তরেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। এমন আবহে ভোটকর্মী সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারা কারা ভোটের ডিউটি করবেন, কোথায় করবেন? তা জানিয়ে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় উল্লেখ, পঞ্চায়েত ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না পার্শ্বশিক্ষক, প্রাথমিক শিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের। মঙ্গলবার এই মর্মে রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চিঠি পাঠানো হয়েছে সব জেলার পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকদের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পার্শ্ব শিক্ষক, প্রাথমিক শিক্ষকদের ফোর্থ পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ করা যাবে না। এবং যেখানে যেখানে মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।
অতীতে বিভিন্ন জেলায় দেখা গেছে ভোটের কাজে প্যারা টিচার বা প্রাথমিক শিক্ষকদের ফোর্থ পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করার ঘটনা ঘটেছে। এমনকী মেডিক্যাল অফিসারদেরও ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু, এবার তাদের ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের এই নির্দেশিকা সব জেলা প্রশাসনকে মানতে হবে। সেই মোতাবেকই দিতে হবে ডিউটি। কিন্তু, কী কারণে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত, সেই নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
এর আগে পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার না করার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার করতে পারে। এর আগে পুরসভার ভোটেও অস্থায়ী কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছিল বলে আদালতে জানান মামলাকারীরা। তাই পঞ্চায়েতে অস্থায়ী কর্মীদের ভোটের কাজ থেকে বাদ রাখার দাবি জানান।
কমিশনের তরফে অবশ্য নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটের কাজে স্থায়ী কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে নির্দিষ্ট কিছু কাজে অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা হবে বলেও জানায় কমিশন। কিন্তু হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, চতুর্থ পোলিং অফিসারের নীচের কোনও পদে সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ অন্য অস্থায়ী কর্মীদের রাখা যেতে পারে। এছাড়া নিয়মের অন্যথা হবে না।